মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আসমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার আলিশারকুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করা হয়।







নিহত আসমা বেগমের হাতে লেখা নোট পাওয়া গেছে। এটা মর্মান্তিক ঘটনা যে, হাতে নোট লিখে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন গৃহবধূ। তবে নিহত আসমাকে নিয়ে তদন্ত করবে স্থানীয় পুলিশ।







খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত আসমা উপজেলার আলিশারকুল এলাকার মতলিব মিয়ার মেয়ে। তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, আসমা বেগমকে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।







জানা যায়, চার মাস পূর্বে উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রাজপারা এলাকার মৃত ছোবান মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল হালিমের (২২) সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় আসমা বেগমের। এর পূর্বে আসমা বেগমের বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে ছয় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে কিন্তু সেই সংসার ভেংগে যায়।







পেশায় তাঁর স্বামী আব্দুল হালিম শ্রমিকের কাজ করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আব্দুল হালিম জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। তারপর রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার স্ত্রী পাশে নেই।







তারপর তিনি ঘরের মধ্যে স্ত্রীকে খোঁজে হঠাৎ দেখেন ঘরের উপরে তীরের সঙ্গে মাফলার গলায় দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাঁর স্ত্রীর লাশ নিচে নামান। এ সময় আসমা বেগমের হাতের মধ্যে আত্মহত্যার নোট লেখা দেখা যায় বলে তাঁর স্বামী জানান।







তাঁর বড়বোন আলেয়া বেগম জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করার কথা নয়। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক ঝামেলা ছিল। আমাদের ধারণা আমার বোনকে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।







উল্লেখ্য, নিহত আসমার ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও হয়তো স্বামীর প্ররোচনায় আসমা বেগম আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। হাতের লেখার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।






