সিলেট থেকে ‘ফাহাদ অ্যান্ড মায়শা পরিবহন’ নামের যাত্রীবাহী বাসে চড়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে গত ২৬ ডিসেম্বর যাত্রা করেন এক নারী। চলতি পথে একে একে বাসের সব যাত্রী নেমে যাওয়ায় তিনি একা হয়ে পড়েন।
বাসটি দিরাইয়ের পাতারিয়ায় পৌঁছালে চালক শহিদ মিয়া (২৬) চলন্ত বাসে ওই নারীকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। ওই সময় নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য নারী যাত্রী চিৎকার শুরু করেন। এ চিৎকার শুনে সুজানগর গ্রামের লোকজন বাসটি আটকের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চলন্ত বাস থেকে নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে দেয় চালক শহিদ। এতে ওই নারী আহত হলে পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
চালক শহিদ মিয়াকে শনিবার সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শহিদ সিলেটের মোল্লার গাঁওয়ের তৌফিক মিয়ার ছেলে।
রোববার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিআইডির সাঁড়াশি অভিযানে প্রথমে শহিদের ছোটভাই মো. কছির এবং দুলাভাই সুমনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহিদকে ধরতে ভোগড়া বাইপাস এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এরই মধ্যে তিনি সুনামগঞ্জের দিকে রওনা দেন। শনিবার শহিদকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ওই নারী শনাক্ত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সব যাত্রী যখন একে একে পথের মধ্যে নেমে যান তখন নারী যাত্রী একা ছিলেন। বাসচালক শহিদ স্টিয়ারিং হেলপার বক্করের হাতে ছেড়ে দিয়ে নারীর চুলের মুঠি ধরে বাসের পেছনের দিকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। চালকের আরেকজন সহকারীও সে সময় বাসে ছিল। গত সোমবার রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেন।