বিয়ে তিনি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘরোয়া লুক, মিষ্টি হাসি আর অভিনয় ক্ষমতা বাঙালি দর্শকদের বড়ই পছন্দের। বাণিজ্যিক থেকে ভিন্ন ধারার ছবি সবখানেই সাবলীল তিনি।
কিন্তু পর্দার জীবন যতই সুখের হোক না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে চড়াই-উতরাই কম পেরতে হচ্ছে না নায়িকাকে। ইদনিং তিনি বারবার খবরে এসেছেন তাঁর ব্যক্তিগত কারণে।
প্রথমে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ, তারপর আবার প্রেমের খবর। বারবার লাইমলাইটে এলেছে শ্রাবন্তীকে।প্রথম স্বামী রাজীব পরিচালক৷ তার সঙ্গে অনেক ছোট বয়সেই বিয়ে হয়েছিল নায়িকার৷ তারপর গুছিয়ে করছিলেন সংসার৷ ঝিনুক তাঁদের একমাত্র ছেলে৷
কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি তাঁর৷বেশকিছু বছর একা থাকার পর ফের প্রেমে পড়েন পেশায় মডেল কৃষ্ণ ব্রিজের৷ বিয়েও হয় তাঁদের৷ কিন্তু এই বিয়েতেও সমস্যা শুরু হয়৷ বিয়ের মাস কয়েকের মধ্যেই ডিভোর্সের পথে হাঁটেন তাঁরা৷
এখন টলিপাড়ায় নতুন গুঞ্জন, ফের প্রেমে পড়েছেন নায়িকা শ্রাবন্তী৷ এবারের পাত্র এক বিমান সংস্থার কর্মী৷ নাম রোশন শিং৷ শীঘ্রই নাকি চার হাত এক হতে পারে দু’জনের৷ শোনা যাচ্ছে শ্রান্তীর জামাইবাবুর সূত্রে রোশনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে
নায়িকার৷আর নায়িকার এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত আ-ক্র-মণে নেমে পড়েছেন নেটিজেনরা৷ সম্প্রতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হলুদ শাড়ি পর একটি ছবি পোস্ট করেছেন শ্রাবন্তী৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে নায়িকার সিঁথিতে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র৷
ছবিটি নতুন সিনেমা ‘হুল্লোড়’-এর শু-টিংয়ের সময়ের৷ কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই বিষয়টা বুঝতে না পেরেই কটূমন্তব্য করেছেন৷ ফেসবুকে ওই ছবির কমেন্ট বক্সে অমিত কুমার নামের এক ব্যক্তি লেখেন,
‘‘আপনি আর বিবাহ না করে সন্তানের মঙ্গলে সন্তানকে নিয়ে সন্তানের পিতার কাছে ফিরে যান….. অথবা সন্তানকে নিয়ে একা থাকেন…. হিন্দু সমাজে একটা নারীর বহু বিবাহ বে-মানান…. প্রয়োজনে পরকিয়া করেন ৷’’
সায়নী মন্ডল নামে এক মহিলা লিখেছেন, ‘‘প্লিজ আপনি আর নেক্সট বিয়ে না করে সন্তানকে নিয়ে থাকুন৷ আপনার এই বিয়ের চক্করে আপনার সন্তানের কেরিয়ার খারাপ হতে পারে৷ প্লিজ আপনার সন্তানের কথা ভেবে আর বিয়ে করবেন না৷
’আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘ছেলের মাথা নীচু হচ্ছে, বিয়ে না করে প্রয়োজনে পরকীয়া করুন’যদিও নেটিজেনদের এই সমস্ত মন্তব্যের বি-রু-দ্ধে সরব হয়েছেন শ্রাবন্তীর অন্য ভক্তরা৷ তথ্যসূত্র: ঢাকা রিপোর্ট
আরো খবর পড়ূনঃ
বাচ্চা ছেলে তো, যা ইচ্ছা তা-ই বলছে,দু-বছর পর বাটি চালান দিয়েও পাওয়া যাবে না:মোজাম্মেল হক
ডাকসু ভিপি নুর এর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় সম্প্রতি দায়ের করা একটি মামলায় এবং সেই মামলায় ভিপি নুরকে প্রথমের দিকে বলা হচ্ছিল যে তিনি প্রধান আসামি কিন্তু পরবর্তীতে জানা গিয়েছে ছাত্র পরিষদের একজন সদস্য এবং ভিপি নুরের সহযোগী মামুন এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি আনা হয়েছে এবং ভিপি নুর তার সহযোগিতা করেছিলেন মামলার এজাহারে জানা যায় বিয়ের প্রলোভনে মামুন ঢাবি ছাত্রের সাথে যে কর্মকাণ্ড করেছিলেন সে ব্যাপারে নূরের কাছে বিচার চাইলে তিনি সেটি মীমাংসার জন্য বলেছিলেন এবং এই ব্যাপারটি গোপন রাখতে বলেছিলেন তিনি না হলে তার সম্মানহানি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছিল এমনটাই সেখানে উল্লেখ আছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরস আলোচনা আছে—মাধ্যমেই নুরুল হক নুরকে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা হয়েছে। আর বর্তমান সময়ে রাজনীতির মাঠে বিরোধী দল বলতে কার্যত কেউ না থাকায় নুরের কার্যক্রমকেই ক্ষমতাসীনরা বিরোধী তৎপরতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে নিবৃত্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
ছাত্র অধিকার আদায়কে পুঁজি করে তরুণদের মাঝে জনপ্রিয়তা পান নুরুল হক নুর। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের হাতে দফায় দফায় শিকার হন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত বছর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি পরাজিত করেন ছাত্রলীগের সভাপতিকে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ডাকসুতে ভিপি নুরের মেয়াদ শেষ। তিনি এবার মনোযোগ দিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দল গড়ায়। ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার আদায় ও জাতীয় ইস্যুতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্যও দিচ্ছেন। দল গড়ার অংশ হিসেবে শ্রমিক, যুবক, ছাত্র ও প্রবাসীদের নিয়ে পৃথক পৃথক অধিকার পরিষদ গড়ে তুলেছেন। ’জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে এ বছরের মধ্যেই নতুন দল ঘোষণা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে এই আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে নুরের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাদ সেধেছে নতুন নতুন মামলা। এখন তাঁর ঘাড়ে ঝুলছে ছয়টি মামলা। গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী তাঁকে ঘটনায় করা মামলায় নুরকে সহায়তার আসামি করেন। এরপর ওই রাতেই পুলিশ তাঁকে দুবার আটক করে ছেড়ে দেয়। ওই ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার অপহরণ ও ডিজিটাল আইনে নুরসহ কোটা আন্দোলনের ছয়জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন।
নুরের বিরুদ্ধে আগের মামলাগুলো হয়েছে ডাকসুর নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই, মোবাইল চুরি, মানহানি দিয়ে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে। এসব ঘটনায় নুরের সংগঠনের অভিযোগ জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে বিশেষ শক্তির ইঙ্গিতে তার ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তবে এমনও বলা হচ্ছে, এসব করে নুরের জনপ্রিয়তাই বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শক্তি কতখানি তার বিশ্লেষণও চলছে।