আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর।
গত ২ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় সাহারা খাতুনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এরপর তার অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড নেয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।
১৯৪৩ সালের পহেলা মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্ম গ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
সাহারা খাতুন ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
আরো খবর »
যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬৯১ জন
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনা ভাইরাসে নতুন করে আরো ৬৯১ জন প্রাণ হারিয়েছে।
রোবাবার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। খবর এএফপি’র।
রোববার রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত (গ্রীনিচ মান সময় সোমবার ০০৩০ টা) বাল্টিমোর ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এনিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৪৮২ জনে দাঁড়ালো।
বৈশ্বিক এ মহামারিতে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটিতে মৃতের ও আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হার কম।
গত মধ্য এপ্রিলে একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রায় ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারালেও বর্তমানে এ ভাইরাসে প্রতিদিনের হিসাবে মৃতের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১ হাজারের নিচে এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারে নেমে এসেছে।
ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, ২৭ জুন নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজারে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মহামারি সংক্রান্ত ৯ টি মডেল থেকে তারা দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর এ চূড়ান্ত ধারণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ মহামারি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি মধ্য এপ্রিলের পিকের তুলনায়কিছুটা কমে আসলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসটি ছড়ানো নিয়ে এখনো উদ্বিগ্ন।
তারা বলছেন, গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া বর্ণবাদ বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে আরো অনেক বেড়ে যেতে পারে।
অন্যেরা যা পড়ছেন;
সংস্কার করা হচ্ছে সাওর ও হেরা গুহা, যেখানে প্রিয় নবীজির উপর পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল
সংস্কার কাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মক্কায় অবস্থিত সাওর ও হেরা গুহা। করোনা সৃষ্ট চলমান লকডাউনের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গেছে।
সৌদিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এসপিএ’র সূত্রে জানা গেছে, মক্কা প্রদেশের শাসক যুবরাজ খালেদ আল ফয়সাল এই সংস্কার কাজের অনুমোদন দেন।
মক্কার ভারপ্রাপ্ত আমির যুবরাজ বদর বিন সুলতান উক্ত সংস্কার কাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
মসজিদুল হারাম থেকে দুই মাইল দূরে অবস্থিত হেরা গুহা। গুহাটি দৈর্ঘ্যে প্রায় চার মিটার ও প্রস্থে দেড় মিটারেরও বেশি। ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র রমজান মাসে এই হেরা গুহাতেই প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা.-এর উপর পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল।
হিজরতের সময় মক্কার কুরাইশগোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নবীজী সা. আবু বকর সিদ্দিক রা.কে নিয়ে সাওর গুহায় আত্মগোপন করেছিলেন।
গুহাদদুটির সংস্কার কাজ সৌদির রাজকীয় কমিশন ও মক্কা প্রদেশের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে বলে জানা গেছে।
বিগত বছরগুলোতে সংস্কার কাজের অভাবে পবিত্র গুহাদ্বয়ের ব্যাপক সৌন্দর্যহানিসহ স্থানচ্যুতি ঘটায় উক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ইতিপূর্বে সংস্কারের পরিকল্পনা থাকলেও স্বাভাবিক সময়ে গুহাদ্বয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজীদের দ্বারা লোকারণ্য থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
সিঁড়িসহ গুহাদুটিকে তাদের মূল স্থানে স্থানান্তরিত করা হবে। প্রথম ৩০ দিনে গুহাস্থিত পাথরগুলোয় থাকা সব পুরনো লেখা ও খোদাই মুছে ফেলা হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুহাগামী রাস্তাগুলোতেও সংস্কার কাজ চালানো হবে। গুহাভ্যন্তরে দস্তার শামিয়ানা, কাঠের জিনিসপত্রসহ কনক্রিটের যাবতীয় অবকাঠামো অপসারণ করা হবে। পুনর্নিমাণ করা হবে গুহা পরিপার্শ্বের সবকিছু।
অন্যেরা যা পড়ছেন;
বুকে ছিদ্র করে পাইপ দিয়ে বাতাস বের করতে হবে; বাবার মৃত্যুর করুণ বর্ণনা
বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।
দেশের অন্যান্য জেলার মতো চট্টগ্রামেও করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছেই। এমন অবস্থায় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসছে হৃদয়বিদারক নানা ঘটনা।
সম্প্রতি শ্বাসকষ্টে বাবার মৃত্যু নিয়ে হৃদয়বিদারক এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী।
তিনি লিখেছেন, বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে হল, কেউ তাকে ভর্তি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত ঠাঁই হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
“বাবার বয়স ৮২ বছর, দীর্ঘদিন ব্রঙ্কাইটিস এবং প্রষ্টেটের সমস্যায় ভুগছেন। ২৭ রমজান সেহরি শেষ করতে না করতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন সাথে শ্বাসকষ্ট-কাশি, কাশির সাথে হালকা র’ক্ত দেখা যায় এবং প্রচুর ঘামতে থাকেন। বর্তমান প’রিস্থিতিতে মেডিকেল এবং প্রাইভেট
হাসপাতালের বিমাতা শুলভ আচরণের কথা ভাবতে ভাবতেই ঘণ্টাখানেক কেটে যায়। বাবার অবস্থার কোন পরিবর্তন না দেখে কপালে যা থাকে হবে মেনে নিয়ে বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম এবং দ্রুতগতীতে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের ইমার্জেনসিতে ঢুকলাম।
এরমধ্যে ছোট বোনের হাজব্যান্ড এসে উপস্থিত হলো, কর্তব্যরত ডাক্তার বুকের এক্সরে এবং ইসিজি করালেন, রিপোর্ট দেখে বললেন বাবাকে দ্রুত আইসিইউ’তে রাখতে হবে।
আমি সময় নষ্ট না করে ব্যবস্থা নিতে বললাম কিন্তু কতৃর্পক্ষ তাদের আইসিইউ’তে রাখার অপারগতা জানালেন কারণ। দু’দিন আগে নাকি ওনাদের হাসপাতালে একজন রোগীর কোভিড পজেটিভ আসে। সর্বোচ্চ অনুরোধ করার পর জানতে চাইলাম বাবার রিপোর্টে কোভিডের কোনো আশং’ঙ্কা আছে কিনা?
ডাক্তার জানালেন তেমন কোন আশংঙ্কা নেই। বললাম দয়া করে আমাকে এটুকু বলেন যে বাবার বতর্মান যা অবস্থা তাতে অন্য কোন হাসপাতাল এডমিট করবে কিনা? ওনি জানালেন এডমিট না করার কোন কারণ নেই, আমি যেন ম্যাক্স অথবা ন্যাশনালে নিয়ে যাই।
কালক্ষেপণ না করে ম্যাক্সের দিকে ছুটলাম। ম্যাক্সের ইমার্জেন্সিতে রিপোর্ট দেখালাম। ওনারা বললেন, আইসিইউ খালি আছে তবে একটু সময় দিতে হবে।
ফাইল আইসিইউ’তে পাঠানো হলো, আমার সামনেই কর্তব্যরত ডাক্তার কয়েকজনকে ফোন করলেন এবং জানালেন আইসিইউ’র ডাক্তাররা ছুটিতে আছেন তাই অ্যাডমিট করতে পারবেন না। বুঝলাম রিকোয়েস্ট করেও কাজ হবে না।
সময় নষ্ট না করে ন্যাশনালে ঢুকলাম। ঢুকেই নানা রকমের প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হলাম। যেমন- পার্কভিউ ভর্তি করালো না কেন? ম্যাক্স কি বললো?
মাথা ঠাণ্ডা রেখে উত্তর দিলাম এবং অনুরোধ করে বললাম যে বাবার অবস্থা খুবই খারাপ এবং ওনার কোভিডের কোনো সমস্যা নেই।
রিপোর্টগুলো ভালো মতো চেক করে ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট আইসিইউ’তে ফোন করে জানালেন এবং তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বলে আমাকে ফাইল নিয়ে কাউন্টারে পাঠালেন।
এরপর কাউন্টারে কর্মরত ব্যক্তি প্রথমে যা বললেন তা হলো, একদিনে কুড়ি হাজার বা তার অধিক বিল আসতে পারে রাজি আছি কিনা! আমি শুধু বললাম তাড়াতাড়ি করেন প্লিজ। বাবাকে আইসিইউ’তে ঢুকানো হলো।
স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই আইসিইউ থেকে আমার ডাক পড়লো, ভেতরে গিয়ে দেখলাম ডাক্তার সাহেব রাগে গজগজ করছেন এবং একজন আরেক জনকে বলছেন ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের কেমন আক্কল!
এই ধরনের রোগীকে আইসিইউ’তে পাঠালেন!আর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আপনার বাবার কি সমস্যা আপনি জানেন? বললাম না, তবে মনে হয় কোভিড-১৯ না।
উত্তর শুনে ডাক্তার মশাই রেগে গিয়ে বললেন, আপনি কি ডাক্তার যে বললেন কোভিড না? ওনি খুবই বিপদজনক ওনাকে কোনভাবেই আমাদের আইসিইউ’তে রাখা যাবে না।
দয়া করে ওনাকে এখনি নিয়ে যান। বললাম, ইমার্জেন্সি থেকে যে বললো আইসিইউ’তে রাখতে সমস্যা নেই, কোন উত্তর না দিয়ে ডাক্তাররা বেরিয়ে গেলেন। ফাইল নিতে নিতে বাবার দিকে তাকালাম, বাবার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে নিজের অজান্তেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিলো।
আমার এক বন্ধু প্রবালকে (কার্ডিওলজিস্ট, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল) পেলাম এবং বিস্তারিত জানার পর সে বললো কোন প্রাইভেটে ট্রাই না করে যেন দ্রুত মেডিকেলে চলে যায়।মেডিকেলে গিয়ে দেখি ইমার্জেন্সিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা অনেক রোগীর ভিড়, সাধারণ রোগীসহ সবাইকে এক জায়গায় প্রাইমারী ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এরমাঝে, বাবাকে যতদূর সম্ভব নিরাপদ দূরত্বে রেখে ফাইল নিয়ে হাজির হলাম।
সব শুনে এবং রিপোর্ট দেখে বললেন বুকের এক্সরে আর ইসিজি করাতে হবে। আমি বললাম স্যার এগুলোতো আমার করা আছে। বললেন কবে করিয়েছেন?
বললাম এইতো ঘণ্টাখানেক আগে, কথা শুনে রিপোর্ট গুলো আমার দিকে ছুড়ে দিয়ে বললেন, যা বললাম তাই করেন।অনেক কষ্টে একটা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে বাবাকে নিয়ে এক্স’রে করাতে ছুটলাম। গিয়ে দেখি লম্বা লাইন।
মেডিকেল স্টাফ, যে কিনা হুইল চেয়ার নিয়ে এসেছে তাকে দিয়ে রিকুয়েস্ট করালাম যেন বাবাকে একটু আগে দেন, কিন্তু ভিতর থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হলো সিরিয়াল ভা’ঙ্গা যাবে না।
এদিকে তী’ব্র শ্বাসকষ্টের কারণে বাবা বারবার মাস্ক খুলে ফেলছেন, পরে বাবার কষ্ট দেখে আমি নিজেই বাবার মুখ থেকে মাস্ক খুলে দিই।অনেক কষ্ট করে বাবাকে দাঁড় করিয়ে এক্সরে করালাম, রিপোর্ট নিয়ে ইসিজি ডিপার্টমেন্টে গেলাম এবং আগের রিপোর্টসহ একসাথে দিলাম।
রিপোর্ট দেখে উনি বললেন, টেস্টতো সব করা আছে আবার কেন করালেন? উত্তর না দিয়ে বললাম আমার বাবার কি সমস্যা একটু আমাকে বলবেন?
আমাকে জানানো হলো বাবার ফুসফুসে হাওয়া জমে গেছে যা ইমিডেটলি বুকে ছিদ্র করে পাইপ দিয়ে বের করতে হবে। তাছাড়া বাবার একটা মাইলড এ্যাটাক হয়েছে।এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার ভাগনি নিপার সাথে যোগাযোগ করা হলো।
সে বললো ফুসফুস থেকে হাওয়া বের না করলে যেকোন মুহূর্তে দু’র্ঘটনা হতে পারে। ভাগনি তার পরিচিত ডাক্তারদের তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বললেন এবং সর্বোচ্চ কেয়ার নিতে বললেন।
সার্জারি শেষ হলে বাবাকে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের এইচডিইউ তে রাখা হলো।পরে ডাক্তাররা আমাকে অভয় দিয়ে বললেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা তারা করবেন।
তবে বাবার অবস্থা একটু ক্রিটিক্যাল, আর করোনার কারণে চারপাশের অবস্থা যেহেতু ভিন্ন তাই যাই হোক মেনে নিতে হবে। রাত ১০ টা পর্যন্ত বাবার অবস্থার কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
রাত ১১ টার পর থেকে বাবার শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে। ডিউটি ডাক্তারকে বিষয়টি জানালে তিনি রোগী না দেখেই জানতে চাইলেন স্যালাইন চলে কিনা আর অক্সিজেন ঠিক আছে কিনা।
বললাম ঠিক আছে, উনি জানালেন আপাতত এর বাইরে কোন ট্রিটমেন্ট নেই।সারারাত বাবার পাশে বসে রইলাম। বাবার চোখ দুটি হালকা খোলা, বুক ছাড়া বাকি শরীর একেবারে ঠাণ্ডা।
সকাল ৮ টার দিকে অনেকটা জোড় করে একজন ডিউটি ডাক্তারকে রুম থেকে বের করে আনলাম। ডাক্তার দেখে বললেন অবস্থা ভালো না। ১০ টার দিকে বাবার কাপড় চেইঞ্জ করে বাবাকে পরিষ্কার করে দিই।
১০:৪০ এর দিকে শেষবারের মতো বাবা আমার দিকে তাকানোর চেষ্টা করেন তখন বাবার গলায় গড়গড় শব্দ হতে থাকে। ২৮ রমজান, জুম্মাতুল আল’বিদার দিন সকাল ১০:৪৫ মিনিটে বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
করোনা প’রিস্থিতিতে দেশের চিকিৎসা সেবা নিয়ে বেশকিছু দুঃখের কাহিনি ফেসবুকে পড়েছি। কিন্তু আমাকেও যে কিছু লিখতে হবে স্বপ্নেও ভাবিনি।”
আরো খবর পরেন;
মাস্ক না পরে বের হলেই ছয় মাসের কারাদণ্ড বা লাখ টাকা জরিমানা
করোনাভাইরাস (কো’ভিড–১৯) সংক্রমণের মধ্যে বাড়ির বাইরে চলাচলরত অবস্থায় ব্যক্তিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে।
কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ আ’ইন–২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঘোষণায় এ কথা বলা হয়েছে। এতে সই করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা।
নতুন এই ঘোষণার কারণে মাস্ক না পরে বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে চলাচল করলে ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। অবশ্য ঘোষণায় এই আইন জেলা প্রশাসক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্বশেষ ৬ মে একটি নির্দেশনা জারি করে। সেই নির্দেশনায় এই পরিবর্তনগুলো যুক্ত করা হয়েছে।
শনিবারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, আইন অমান্যকারীদের সংক্রমণ আইনের ২৪ (১,২), ২৫(১ এর ক,খ) এবং ২৫ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, সংক্রমণ আইনের ২৪ (১, ২) ধারায় অপরাধ সংঘটন করলে সর্বোচ্চ সাজা ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা।
এছাড়া নির্দেশনায় রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরো খবর পরেন;
দেশের কোথাও খাদ্যের অভাব হয়নি : সাধারণ সম্পাদক হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, আমরা খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
কৃষকের ধানকাটা থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। কর্ম’হীন ও অস’হায় মানুষের পাশে থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রেখেছেন, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। আর এ কারণেই দেশের কোথাও খাদ্যের অভাব হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে যোগ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হানিফ এসব কথা বলেন। ইন্টারনেটে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের এবারের বিষয়বস্তু ছিল ‘করোনা সঙ্কটে জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’।
সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলি ফরহাদ। অনুষ্ঠানে হানিফ ছাড়াও অংশ নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি এবং ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
হানিফ বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত মানুষের পাশে আছে।
আরো খবর পড়ুন;
করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ভর্তি নিল না হাসপাতাল, মৃত্যু বলিউডের প্রযোজকের
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক অনিল সুরি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
গত বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান এই প্রবীণ প্রযোজক।
শুক্রবার সন্ধ্যা বেলা সুরি পরিবারের চার জন সদস্যর উপস্থিতিতে অনিলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালেই মা’রা যান প্রখ্যাত পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। ওই একই দিনে সন্ধ্যা বেলায় মৃ’ত্যু হয় অনিলের।
বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘মনজিল’-এর প্রযোজক ছিলেন অনিল। অভিনয়ে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন এবং মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও ‘রাজ তিলক’, ‘কর্ম যোগী’সহ বিভিন্ন ছবির প্রযোজক ছিলেন অনিল সুরি।
অনিলের ভাই রাজীব সুরি বলেন, দাদার অবস্থা গু’রুতর হলে আমরা লীলাবতী এবং হিন্দুজার মতো নামি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ওই দুটি হাসপাতালই দাদাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে।
তারা সাফ জানিয়ে দেন বেড নেই। এরপর আমরা অ্যাডভান্সড মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দাদাকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালেই মা’রা যান দাদা।
আরো খবর পড়ুন;
ধূমপানকারী তরুণদের জন্য দুঃসংবাদ ; তরুণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ধূমপায়ী তরুণস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর) এর ওয়েবসাইটে তুলে ধরা তথ্যমতে, বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি ।তবে পুরুষদের মধ্যে তরুণদের একটি বিশাল অংশ করোনায় আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্র- আইইডিসিআর প্রকাশিত এক ইনফোগ্রাফের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, তামাক সেবনকারীদের আক্রান্তের হার বেশি হওয়ার কারণ হলো তাদের ফুসফুস দুর্বল থাকে।বর্তমানে দেশে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ বলছে, ২১-৩০ বছর বয়সীদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে বেশি। এ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশই করোনা আক্রান।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি অ্যাণ্ড রিসার্চ বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, লকডাউনের ফলে বয়স্ক ব্যক্তিরা হয়তো বাইরে বেশি যাচ্ছে না কিন্তু তরুণরা বিভিন্ন হাটবাজার এবং কাজকর্মে বের হচ্ছে।
এটিই মূল কারণ তাদের সংক্রমিত হওয়া।তিনি মনে করেন, ধূমপান ও অন্যান্য ধোঁয়াবিহীন তামাকে অভ্যস্ততার কারণে তরুণদের ফুসফুস দুর্বল থাকে। করোনা ভাইরাস প্রথমেই শ্বাসতন্ত্রে আঘাত হানায় তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।