দিন যত যাচ্ছে সমাজ থেকে মনুষত্ববোধও যেন হা’রিয়ে যাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে সমাজের সকল প্রকার অ’পরা’ধও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ থেকে নি’ষ্ক্রি’য় পেতে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান কঠোর হয়ে পড়েছে। করোনাকে ঘিরে বাংলাদেশ পু’লিশ অতীতের ব’দনা’ম গুলো দূর করতে রাত দিন অ’ক্লা’ন্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে জনগণকে সুরক্ষিত রাখছে। কিন্তু সমাজের কিছু অ’সাধু ব্যক্তির কারণেই সমাজ থেকে কোন প্রকার অপরাধও যেন দূর করা যাচ্ছে না।
এরই অংশ হিসেবে দিনাজপুর সদর উপজেলায় অন্যের লিচুর বাগানে ঘাস খাওয়ায় ১টি গরুর ২টি পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ১ পাষণ্ড ব্যক্তি। ২ পায়ের রগ কাটার ফলে গরুটি দাঁড়াতেও পারছে না। বর্তমানে গরুটিকে দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
এব্যাপারে পাষণ্ড ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী গরুর মালিক। গত সোমবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী গরুর মালিক ওই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় গরুটি আমার নিজ লিচু বাগানে বাঁধা ছিল। গরুটি ২ মাস পূর্বে ১টি বাছুর জন্ম দিয়েছে। সন্ধ্যায় গরুটি বাধা রশি ছিঁড়ে পাশের মৃত হাকিম মন্ডলের ছেলে লুৎফর রহমানের লিচু বাগানে প্রবেশ করে ঘাস খায়। এতে লুৎফর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গরুর পিছনে ২টি পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এতে গরুটি দাঁড়াতে পারছে না।
আমি রাতে বাধ্য হয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাই। আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) বেলা ১১টায় আবার উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে গেলে সেখানে আমার গরুর চিকিৎসা করা হয়।
তিনি আরও জানান, লুৎফর রহমানের সাথে আমার কোন রকম শত্রুতা নেই। তারপরও সে আমার গরুর সাথে এমন আচরণ কেন করল? গ্রামের নিয়ম আছে অন্যের কোন গাছ বা ক্ষেতের ক্ষতি করলে পশুটিকে খোয়াড়ে দিতে হয়। কিন্তু তিনি তা না করে এই অবলা গরুর ২টি পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। একজন ভালো মানুষ এভাবে কখনই করতে পারেন না। আমি তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান গরু মালিক।
দিনাজপুর সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রহিম জানান, গতকাল সোমবার রাতে গরুটিকে আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় এখানে চিকিৎসা দেয়ার মত কেউ ছিল না। তাই আজ বেলা ১১টায় নিয়ে আসলে আমরা গরুটির ২টি পায়ের সেলাইসহ অন্যান্য চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এটা তো এক ধরনের ফৌজদারী অপরাধ। একজন সুস্থ ব্যক্তি কখনই পশুর সাথে এ ধরনের আচরণ করতে পারে না।
আরো পড়ুন ;
করোনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভার্চুয়াল ক্লাস চলবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরবর্তী সময়েও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভার্চ্যুয়াল ক্লাস চলমান থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ জুন) এটুআই’র আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল ক্লাস রুম উদ্বোধন বিষয়ক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েক বছর পর যেতেই হতো, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদেরকে আগে করতে হলো। রূপকল্প ২০৪১ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং অনলাইন শিক্ষাই তাদের জন্য বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের অনেক উদাহরণ রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবইয়ের কনটেন্ট ই-কনটেন্টে রূপান্তরিত করতে হবে। আমাদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে। ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী যাদের অনলাইন শিক্ষায় সুযোগ (অ্যাকসেস) দিতে পারছি না। কীভাবে দেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে লোন দেওয়া যায় কিনা, ইন্টারনেটের খরচ কমানো যায় কিনা সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় তা নিয়ে কাজ করছে।
শিক্ষাউপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই শুধু কাজ করবে তা নয় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই কাজ করতে হবে। যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘১০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়া যায় কিনা তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ লোনও দেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সংশ্লিষ্টরা।
আরো পড়ুন ;
যেসব কারণে ইসলাম একটি অনন্য ধর্ম
ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م শব্দটি হতে; যার দু’টি অর্থ: ১. শান্তি ২. আত্মসমর্পণ করা। সংক্ষেপে, ইসলাম হলো শান্তি (প্রতিষ্ঠা)’র উদ্দেশ্যে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ’র কাছে আত্মসমর্পণ করা।
ইসলামের মূল শিক্ষা হলো- এক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো স্রষ্টা বা মাবুদ নেই এবং হজরত মুহাম্মাদ (সা.) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
ইসলাম কোনো নতুন ধর্ম নয়, বরং সৃষ্টির শুরু থেকেই ইসলামের উৎপত্তি। হজরত আদম (আ.) ছিলেন এই পৃথিবীর প্রথম মানব এবং ইসলামের প্রথম নবী। আর শেষ নবী হলেন হজরত মুহাম্মাদ (সা.)। ইসলামের মূল ভিত্তি কোরআন ও সহিহ হাদিস অনুযায়ী ইসলামে কোনো দল বা সম্প্রদায় নেই। সবার পরিচয়ই হবে মুসলমান এবং জীবন পরিচালনার ভিত্তি হবে এই দুটিই।
তো চলুন আমরা সংক্ষেপে জেনে নিই; যেসব কারণে ইসলাম একটি অনন্য ধর্ম-
> ইসলামের অলৌকিকত্ব হলো কোরআন নামের একটি বই, যে বই দুনিয়াতে রচিত হয়নি, আসমান থেকে নাজিল হয়েছে। এ বই এর একটি বর্ণও বিকৃত হয়নি এবং হবেও না।
> কোরআনের নিদর্শন কিয়ামাত পর্যন্ত জারি হতে থাকবে। এর হিফজ মানুষের অন্তরে ধারন থাকবে যা পৃথিবীর অন্য একটি বইও মুখস্ত করা সম্ভব নয়। এটি একটি ওপেন চ্যালেঞ্জ।
> বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) যে আদর্শ রেখে গেছেন সে আদর্শের বিপরিত একটি আদর্শও স্থায়ী হবে না। আর সে আদর্শই মানব জাতির মুক্তির দিশারী।
> ইসলাম একটি মানবতার দ্বীন। এতে ধনী, গরিব ও বর্নভেদ নেই। এতে অমুসলিমদের পূর্ণ অধিকার দেয়া হয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে নেই।
> ইসলাম এমন একটি মতবাদ যাতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রিয়- সব ধরনের বিধান পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা রয়েছে।
> অন্যান্য সব মতবাদ সমস্যার পর সমাধানের চেষ্টা করে, ইসলাম যেকোনো সমস্যার শুরুই হতে দেয় না। যেকোনো অপরাধ সৃষ্টির পথও বন্ধ করে দেয়।
> ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে সারা পৃথিবীতে কোনো অর্থাভাব, খাদ্যাভাব, দুর্যোগ ও অবিচার থাকবে না।
> ইসলাম একটি সভ্য ধর্ম। এ ধর্ম অসভ্যদের আলোকিত মানুষ বানিয়েছে।
> ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেখানে জ্ঞানচর্চাকে ইবাদাতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
> ইসলাম একটি স্বভাবজাত ধর্ম, এতে কোনো নোংরামি বা অযৌক্তিক কোনো কাজ নেই। এতে একটি মুদ্রারও অপচয় নেই।
> ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে জ্ঞান চর্চাকে উৎসাহ দেয়া হয়।
> ইসলাম মানুষকে সর্বোচ্চ চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দেয়। সে জন্য যে যতো ইসলাম পালন করে সে ততো চরিত্রবান ও ভদ্র।
> ইসলামে বর্ণ বিভেদ নেই। সবার জন্য সমান আইন, সবাই সবার সঙ্গে সম্পর্ক গঠন করতে পারে।
> ইসলামে যে চাবে সে-ই ইসলামি পণ্ডিত হতে পারবে, কারো কোনো কিছু হতে বাধা নেই।
> পরিশেষে আমরা বলতে চাই, ইসলাম নিছক কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি পূর্ন জীবন ব্যবস্থা। মানব জাতির প্রত্যেকটি সমস্যার ‘সহজ’ সমাধান ইসলামেই রয়েছে।