করোনা ভাইরাস সরাসরি মানুষের দেহে ঢুকে ফুসফুসে আঘাত করে, তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে ভালো খাবারের বিকল্প নেই।
আপনি যা খাবেন তাই আপনার স্বাস্থ্যে প্রতিফলিত হবে। এবং আর যে কোনো অঙ্গের মতোই কিডনির সুরক্ষায়ও বিশেষ কিছু খাবার দরকার হয়। স্বাস্থ্যবান হৃদপিণ্ডের মতোই একটি স্বাস্থ্যবান কিডনি থাকাটাও জরুরি।
কিডনিদের প্রধান কাজ হলো দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেওয়া। এবং ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষ অপসারণের মাধ্যমে দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়া।
এছাড়াও কিডনি ইলেকট্রোলাইটস এবং অন্যান্য তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। এমনই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গকে সুস্থ রাখার জন্য সঠিক কিডনির জন্য উপকারী খাদ্যাভ্যাসও জরুরি।
এখানে রইল এমন নয় খাদ্যের তালিকা যেগুলো কিডনির সুরক্ষায় নিয়মিত খেতে হবে।
>> সবুজ শাকসবজি:
নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। বেশিরভাগ শাকসবজিতে ভিটামিন সি, কে, ফাইবার ও ফলিক এসিড থাকে। এগুলো রক্তচাপ কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনি জটিলতা কমায়।
>> ক্যানবেরি জুস:
চেরির মতো ক্যানবেরিতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম। এই দুটি উপাদান কিডনির ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত ক্যানবেরি জুস খেলে মূত্রথলির সংক্রমণ কমে যায়। সেই সঙ্গে এটি কিডনিও পরিষ্কার করে। এছাড়া কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও কমে যায়।
>> হলুদ:
এলার্জি থেকে ত্বককে রক্ষা করা ত্বককে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কিডনির রক্ষাও করে হলুদ। নিয়মিত হলুদ খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে কিডনিও পরিষ্কার হয়। এতে থাকা কারকুমিনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কিডনি রোগ ও পাথর জমা হওয়া রোধ করে।
>> আপেল:
প্রচলিত আছে ‘প্রতিদিন একটা আপেল খান আর ডাক্তারকে দূরে রাখুন’। কথাটা কিডনির ক্ষেত্রেও সত্য। আপেল উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি আছে যা বাজে কোলেস্টেরল দূর করে হৃদ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আপেল কাঁচা বা রান্না করে অথবা প্রতিদিন এক গ্লাস আপেলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
>> রসুন:
রসুন ইনফ্লেমেটোরি এবং কোলেস্টেরল কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা দেহের প্রদাহ দূর করে থাকে। তবে রান্না করে খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় না। ভাল হয় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া, এটি হার্ট ভাল রাখার পাশাপাশি কিডনিকেও ভাল রাখে।
>> ড্যান্ডেলিয়ন:
এটি হলো একধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। এর মূল এবং পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে হয়। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এ ছাড়া পেটে স্ফীতি কমায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনিকে পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
>> অলিভ অয়েল:
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিনের রান্নায় অন্যান্য তেলের চেয়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে অলিক এসিড, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ফ্যাটি এসিড আছে যা কিডনি সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
>> লেবুর শরবত:
প্রতিদিন লেবু মেশানো জল খেলেও কিডনি পরিষ্কার হয়। লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।
>> আদা:
কিডনিকে আরও কার্যকরী করতে আদা খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কিডনিকে ভাল রাখতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা কিডনিতে রক্তের চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। যদি নিয়মিত কাঁচা আদা, আদার গুড়া কিংবা জুস করে খাওয়া যায় তাহলে তা কিডনি পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে।
আরও খবর পড়ুনঃ
ক’রোনার ভ’য়ং`কর ছো`বলে প্রাণ হারা’লেন বাংলাদেশ পু’লিশ
ডাক্তারের পর দেশে ক’রোনার প্রাণ’ঘাতি আ’ক্রমণে প্রথম পু’লিশ সদস্যের মৃ’ত্যু! ঢাকা মেট্রো’পলিটন পু’লিশের ওয়ারী বিভাগের একটি পু’লিশ ফাঁ’ড়িতে কর্মরত ছিলেন এই মৃত পুু’লিশ সদস্য।
ক’রোনা যু’দ্ধে প্রা’ণ হারা’লেন বাংলাদেশ পু’লিশের কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। তাকে হা’রানোর পরে শো’কাহত বাংলাদেশ পু’লিশ পরিবার। এ নিয়ে আজ প্রেস বি’জ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পু’লিশ।
বিজ্ঞ’প্তিতে বলা হয়, আমরা অ’ত্যন্ত দুঃ’খের সাথে জানাচ্ছি করোনা মোকা’বেলায় মা’ঠ পর্যা’য়ের প্রধান সম্মুখ যো’দ্ধা বাংলাদেশ পু’লিশের এক গ’র্বিত সদস্য কনস্টেবল মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০) করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আ’ক্রান্ত হয়ে মৃ’ত্যুব’রণ করেছেন (ই’ন্না লি’ল্লাহি ওয়া ই’ন্না ই’লাইহি রা’জিউন)।
চলমান করোনাযু’দ্ধে দেশের সম্মানিত জনগণকে সু’রক্ষিত রাখতে গিয়ে মোঃ জসিম উদ্দিনের মৃ’ত্যুতে বাংলাদেশ পু’লিশ গভী’রভাবে শো’কাহত। একই সাথে দেশমাতৃকার সেবায় তাঁর এমন আ’ত্মত্যা’গে বাংলাদেশ পু’লিশ গর্বিত। তাঁকে হারা’নোর শো’ককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ পু’লিশ।
ক’রোনাযু’দ্ধে আত্মউৎ’সর্গকারী মোঃ জসিম উদ্দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পু’লিশের ওয়ারী বিভাগের একটি পু’লিশ ফাঁ’ড়িতে কর্মরত ছিলেন। করোনা’কালে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ করে জ্ব’রে আ’ক্রান্ত হলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ তাঁর ন’মুনা সংগ্রহ করে আইইডি’সিআর-এ করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠা’নো হয়। এরপর থেকেই তিনি কোয়া’রেন্টাইনে ছিলেন।
কিন্তু গতকাল ২৮ এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ মঙ্গলবার রাতে কোয়া’রেন্টাইনে থাকা অব’স্থায় হঠাৎ করেই বেশি অ’সুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তাৎ’ক্ষণিক’ভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস’পাতালে নেয়া হয়। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১০টায় জসিম উদ্দিনকে মৃ’ত ঘো’ষণা করেন। আজ ২৯ এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ সকালে আইইডি’সিআর থেকে জানানো হয়, মোঃ জসিম উদ্দিন করোনা প’জেটিভ ছিলেন অর্থাৎ তিনি কোভিড-১৯ এ আ’ক্রান্ত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ পু’লিশের ব্যবস্থাপনায় মোঃ জসিম উদ্দিনের ম’রদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় পাঠানো হবে। সেখানেই ধর্মীয়রীতি মেনে তাঁকে দা’ফ’ন করা হবে। তিনি স্ত্রীসহ দুই মেয়ে এক ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। করোনা যু’দ্ধে আত্মোউৎসর্গকারী কনস্টেবল মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের পাশে সর্বোতভাবে থাকবে বাংলাদেশ পু’লিশ।
আইডি কার্ড দেখিয়ে ঢাকায় ঢুকতে পারবেন পোশাক শ্রমিকরা
রাজধানীতে ঢুকতে পারবে না কেউ। তবে কারখানার পরিচয়পত্র বা আইডি কার্ড প্রদর্শন করে ঢুকতে পারেবন পোশাক শ্রমিকরা তবে পরিচয়পত্র না দেখাতে পারলে ঢাকার প্রবেশপথেই তাদের আ`টকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এমন নি`র্দেশনা জারি করে শনিবার (২ মে) শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর-ডিআইএফই তা বাস্তবায়নে পু’লিশের মহাপরিদর্শক, শিল্প পু’লিশের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরে নির্দেশনার অনুলিপি পাঠিয়েছে বলে জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘পোশাক শ্রমিকরা কারখানার কাজের জন্য ঢাকায় আসার প্রয়োজন হলে তাকে কারখানার আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে বহন করতে হবে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদর্শন করতে হবে। অন্যথায় ঢাকার প্রবেশপথ, ঘাট ও স্থানসমূহে তাদের প্রবেশের অ`নুমতি দেওয়া যাবে না।’
ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পোশাকশিল্প মালিকদের মাধ্যমে ঢাকার বাইরের অথবা দূরদূরান্ত থেকে পোশাকশ্রমিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকায় আসতে নি`রুৎসাহিত করা হয়েছে।
নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ বলেন, করোনার ঝুঁ`কির মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের ঢাকায় ফেরা ঠে`কাতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পোশাক শ্রমিকরা কি খেলার পুতুল হয়ে গেল নাকি, তাদেরকে নিয়ে যে যার মত তা`লবাহা`না শুরু করেছে। একবার বলা হয় তাদের বাড়িতে তাদের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে আবার বলে তাদেরকে ঢাকাতে চাকরিতে যোগদান করতে হবে।
ক’রো’না যু’দ্ধে জয়ী দুই মাদ্রাসা ছাত্র, ফুল দিয়ে প্রশাসনের শুভেচ্ছা
ক’রো’না যু’দ্ধে জয়ী হয়েছে দুই মাদ্রাসা ছাত্র। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ক’রো’না যু’দ্ধে জয়ী হয়েছেন দুই মাদ্রাসা ছাত্র। তারা উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পুতন্তিপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল শেখের দুই সন্তান রোমান শেখ (২০) ও সুমন শেখ (১৫)।
জানা যায়, ঢাকার কামরাঙ্গিচর একটি মাদ্রাসা লেখাপড়া করেন রোমান শেখ ও সুমন শেখ। ক’রো’নাভাই’রা’সের প্রা’দু’র্ভাবে মাদ্রাসা থাকায় সাত সদস্যের পরিবারসহ গত ২২ এপ্রিল গ্রামের বাড়িতে আসেন তারা।
ক’রো’না প’জে’টিভ হওয়ার পর বাড়িতে চিকি’ৎসা’ধীন অ’বস্থায় গত ১২ ও ১৪ই মে পর পর দুইবার ন’মু’না প’রীক্ষা’য় নে’গে’টিভ আসায় তাদের নিজ বাড়িতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান ও ও’সি (তদন্ত) মো. আহাদুজ্জামান আহাদ।
উপজেলা স্বা’স্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান জানান, পুতন্তিপাড়া গ্রামের মোজ্জামেল শেখের ছেলে রোমান শেখ গত ২৯ এপ্রিল ক’রো’না’ভাই’রাস শ’না’ক্ত হয়। একদিন পর তার আপন ছোট ভাই সুমন শেখের শরীরেও ক’রো’না ভাই’রাস শ’না’ক্ত হয়।
ক’রো’না শ’না’ক্ত দুই রো’গীকে তাদের নিজ বাড়িতে রেখে চি’কিৎ’সা দেওয়া হয়। পরপর দুইবার ক’রো’না পরী’ক্ষায় ফলাফল নে’গে’টিভ আসায় তাদের ক’রো’না মু’ক্ত ঘো’ষনা করা হয়েছে। তবে তাদেরকে স’তর্ক’তার সাথে আগামী ৭দিন হোম কো’য়ারে’ন্টাই’নে থাকার নি’র্দে’শ দেয়া হয়েছে। আ’ক্রান্ত সকলেই এভাবে সু’স্থ হয়ে উ’ঠুক এটাই সবার প্রত্যাশা।
কুরআন পড়ার পর অন্তরে গভী’র প্রশান্তি অনুভব করলাম; রোমানিয়ার নও-মুসলিম
‘নওমুসলিমদের আ’ত্মকথা’ অনুষ্ঠানের এ পর্বে রোমানিয়ার নও-মুসলিম ‘লুসিয়ান কোজোকারু’র মুসলমান হওয়ার কা’হিনী এবং ইসলাম সম্পর্কে তাঁর কিছু বক্তব্য ও চি’ন্তাধারা তুলে ধরা হলো:
রোমানিয়ার নও-মুসলিম ‘লুসিয়ান কোজোকারু’ তার মুসলমান হওয়ার কা’হিনী প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আল্লাহর নৈকট্য অ’র্জনের জন্য ও বিশেষ করে যখন নানা স’মস্যা ও ক’ষ্টের শি’কার হতাম তখন আমি আর আমার মা সাধারণত অ’র্থোডক্স গির্জায় যেতাম। কিন্তু গির্জার পরিবেশ ভালো লাগতো না। কিন্তু ধর্মের চাহিদা অ’নুভব করতাম বলে গির্জা ছে’ড়ে দিতে পারছিলাম না। কি’ছুকাল পর অন্য ধর্মগুলো সম্পর্কে পড়াশোনার সি’দ্ধান্ত নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অন্যান্য ধর্ম ও ইসলাম সম্পর্কে কিছু ধা’রণা ছিল। কিন্তু সেইসব ধারণার কারণে ধর্ম ত্যা’গ করার মতো কোনো যু’ক্তি দেখছিলাম না। ফ’লে আরো গ’ভী’রভাবে পড়াশোনা শুরু করলাম।
অ’নুস’ন্ধান চালাতে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে ইংরেজি ও রোমানিয় ভাষার কয়েকটি ওয়েবসাইটের মুখোমুখি হই। ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস, বি’ধি-বি’ধান ও প্রথাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে অ’ভিভুত হই। যখন মুসলমানদের ঐশী গ্রন্থ কুরআন পড়লাম তখন এ ধর্ম গ্রহণের জন্য আমার আগ্রহ বে’ড়ে যায়। আমার অনু’রো’ধের প্রে’ক্ষাপটে ইরানের সম্প্রচার সংস্থার বিশ্ব কার্যাক্রমের ইংরেজি অনুষ্ঠান আমার কাছে পাঠানো পবিত্র কুরআনের ইংরেজি অনুবাদ ও কিছু প্রবন্ধ পাঠায়। ইসলামকে ভালোভাবে বোঝার ক্ষে’ত্রে এসব আমার জন্য খু’বই সহা’য়ক হয়েছিল।
রোমানিয়ার নও-মুসলিম ‘লুসিয়ান কোজোকারু আরো বলেছেন, ‘ আমি মুসলমান হওয়ার আ’গেই পুরো কুরআন পড়তে চেয়েছিলাম। কুরআন ও ইসলামের নবীর (সা.) প্রতি যেসব হা’ম’লা হচ্ছিল সেসবের কারণ তথা এতসব শ’ত্রু’তা আর বি’দ্বেষে’র কারণ জানার জন্য আগ্রহী হয়েছিলাম। বুঝতে চাচ্ছিলাম কেন ইসলামের শ’ত্রু’রা এতোটা উ’দ্বি’গ্ন বা আ’তঙ্কি’ত। এ মহাগ্রন্থ যথাযথভাবে পড়লে তা মানুষের আ’ত্মার ওপর বি’স্ময়কর প্র’ভাব ফে’লে।
কুরআন পড়ার পর মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের সম্পর্কে জানার পর অন্তরে গ’ভীর প্র’শান্তি অ’নুভব করলাম। এ সময়ই বুঝতে পারি যে কুরআনের বর্ণনা সহজ ও তা বোধগম্য। এই মহাগ্রন্থের বাণী নাজিল হওয়ার পর থেকে এক বিন্দুও বি’কৃত হয়নি, অথচ বাইবেল বি’কৃত হয়ে গেছে ব্যা’পকভাবে।’
পবিত্র কুরআন মানুষের জীবনের জন্য জ’রুরি মূল্য’বোধগুলোকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করায়, বিশেষ করে ইহ’কালীন ও পর’কালীন জীবন এবং জীবন-যাপন প’দ্ধতির ওপর গু’রুত্ব দেয়ায় তা রোমানিয় নও-মুসলিম লুসিয়ানের খুবই ভালো লেগেছে।
মুগ্ধ ও অ’ভিভুত লুসিয়ান আরো বলছেন: ‘কুরআন সমাজকে স’ঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য একটি পরিপূর্ণ গা’ইড বই। কুরআন সামাজিক ও অর্থনৈতিক বি’ধানের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে। এ মহাগ্রন্থ আধুনিক বিজ্ঞান ও সুস্থ জীবনের মধ্যে পরিপূর্ণ সমন্বয় সা’ধন করেছে।
কুরআন ১৪০০ বছর আগে নানা বিষয়ে যা বলেছে আধুনিক বিজ্ঞান সবে মাত্র সেগুলোর সত্যতা আবিস্কা’র করছে। চিকিৎসা, ভুগোল, জ্যোতির্বিদ্যাসহ নানা ক্ষে’ত্রে কুরআন এক জীবন্ত মুজিজা বা অলৌ’লিকতার সা’ক্ষ্য। আর এ থেকেই বোঝা যায় কুরআন মহান আল্লাহর বাণী। কুরআন হযরত মুসা ও ঈসা নবী (আ.)সহ কয়েক হাজার বছর আগের নবীদের ঘ’টনা তুলে ধরে তাঁদের জীবন-যাপন প’দ্ধতির ব্যা’খ্যা দিয়েছে।’
ইসলামের মহান নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মানব-ইতি’হাসের সবচেয়ে বড় ব্য’ক্তিত্ব। সবচেয়ে সুন্দর ও সর্বোত্তম আ’চার-আ’চরণ এবং জীবন-প’দ্ধতিকে নিজ জীবনে প্রয়োগ করেছেন স’র্বকালের সেরা এই মহামানব। রোমানিয়ার নও-মুসলিম ‘লুসিয়ান কোজোকারু’ আরো বলেছেন,
‘ইসলাম ও মহানবী (সা.)’র জীবনের ঘ’টনা সম্পর্কে কয়েকটি বই পড়েছি। এইসব বই পড়ে বুঝতে পেরেছি যে, বিশ্বনবী (সা.) পুরো মানবজাতির জন্য অসা’ধারণ বা অনন্য আদর্শ। তাঁর আ’ধ্যাত্মি’ক জীবন পবিত্রতা, দ’য়া, সাহ’সিকতা ও আল্লাহর প্রতি অবিচল ঈমানে ভ’রপুর। তাঁর আ’চার-আ’চরণ ও মানসিকতা ছিল খুবই আ’কর্ষণীয়। পোশাক-পরিচ্ছদ ও আ’চার-ব্যবহা’রের পদ্ধ’তির দিকে তিনি সব সময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। মৃ’ত্যু’র মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর সৎ ও পবিত্র বান্দা বা দাস।’
ইসলামের নির্দেশিত পারিবারিক জীবনও এ ধর্মের প্রতি লুসিয়ানকে আ’কৃষ্ট করেছে গভী’রভাবে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ইসলাম বিয়ের ওপর বিশেষ গু’রুত্ব দিয়েছে এবং বাবা-মাকে স’ম্মান করতে বলে। মহৎ সব গুণের অধিকারী হতে বলে এ ধর্ম। ইসলামে রয়েছে জ’রুরি সব শিক্ষা। আর এইসব শিক্ষা মানুষকে আদর্শ জীবন গঠনে সহায়তা করে। ইসলাম মানুষের আ’ত্মিক ও শারীরিক সুস্থতাকেও গু’রুত্ব দেয়। এ ধর্ম মূল্যবান নানা দিক তুলে ধরে, আর ম’ন্দ দিক বা খা’রাপ অ’ভ্যাসগুলোকে জনগণ আর সমাজ থেকে দূ’র করতে বলে।’
এভাবে ইসলামসহ নানা ধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা আর গবেষণার পর রোমানিয়ার নাগরিক ‘লুসিয়ান কোজোকারু’ ইসলামের সত্যতা উপল’ব্ধি করতে স’ক্ষম হন এবং তিনি তার মাকে নিয়ে মুসলমান হওয়ার সি’দ্ধান্ত নেন।
এ প্রসঙ্গে লুসিয়ান বলেছেন: ইন্টারনেটে পড়াশোনা বাড়িয়ে দিয়ে ও পবিত্র কুরআন পড়ে ইসলামের দিকে ক্র’মেই বেশি বেশি আকৃ’ষ্ট হতে থাকি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্টকহোমের একটি মসজিদও খুঁ’জে বের করি। ২০১১ সালের চৌঠা মার্চ জুমা নামাজের পর আমি আর আমার মা জুমা নামাজের ইমামের দফতরে যাই ও মুসলমান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি।
তিনি ইসলাম সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান প’রীক্ষা করে দেখার জন্য কয়েকটি প্রশ্ন করেন। এরপর নামাজিদের উপস্থিতিতে আমরা কলিমা শাহাদাতাইন পাঠ করি। আমি খুবই আ’বেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। আমার মা আমাকে স্বাগত জানান ও আমার সঙ্গে দ’য়াদ্র আ’চরণ করেন।