সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্রা’হ্মণবাড়িয়া জেলাকে নিয়ে কটা’ক্ষকারীদের সত’র্ক করলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে গা’লিগালাজ করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের এই সংসদ সদস্য।
রোববার (৩ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ক’রোনাভাইরাস প্র’তিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এ কথা বলেন সাংসদ মোকতাদির।
লকডাউনের মধ্যেই ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় বরেণ্য আলেম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজার নামাজে লাখো মানুষের সমাগম হওয়ার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে কটা’ক্ষ করে আপ’ত্তিকর পোস্ট দেন।
তাদের উদ্দেশ করে সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘ব্রাহ্ম’ণবাড়িয়ায় কিছু হলেই ব্রা’হ্মণবাড়িয়াকে গা’লি দেয়। কী যে অ’পরাধ করলাম, এটা আ’মরা বুঝলাম না। ব্রহ্মণবাড়িয়াকে গা’লি দেয়া খুবই সহজ। যারা গা’লি দেয় তাদের বি’রুদ্ধে আমরা যতটা পারি আইন’গত ব্যব’স্থা নেব এবং আমরা কা’উকে ছা’ড় দেব না।’
তিনি বলেন, ‘কারো র’ক্তচক্ষু’কে আমরা ভ’য় পাই না। আমার সহকর্মীদের বলেছি যদি নিয়মিত মা’মলা না হয়, তাহলে কারো কারো বিরু’দ্ধে আমরা নিয়মিত মাম’লা করার চেষ্টা করছি। যদি না হয় তাহলে আমরা হয়তো উকিল নো’টিশ দিয়ে আ’দালতে তাদের দাঁড় করাব।’
এছাড়া চাল ও ত্রা’ণ চু’রির ঘটনায় স’তর্ক করে সাংসদ মোকতাদির বলেন, যাদেরকে ত্রাণ দেয়া হবে তারা যেন সঠিক লোক হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। চু’রির জন্য যদি জনপ্রতিনিধি কিংবা আমাদের দলীয় লোক অ’ভিযুক্ত হন, আমরা কাউকে ছাড় দেব না।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।
সুত্র জাগো নিউজ ২৪