সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধির কিছু শর্ত মেনে খুলছে অফিস। শুরুতে গণপরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানালেও পরে মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সীমিত আকারে সেটাও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি আদেশে জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সময়ে গণপরিবহণগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
‘‘উক্ত সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে। তবে সব অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।” বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলেও ওই আদেশে জানানো হয়।
বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়া মারাত্মক সংক্রামক রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের অফিস-আদালত বন্ধ; তখন থেকে গণপরিবহণও বন্ধ রয়েছে।
ঘরবন্দি থাকার এই সময়ে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিলের পর যখন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়ছে; তখন ঈদ কাটিয়ে অফিস ও গণপরিবহণ চালু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত একদিনে রোগী শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। এদিন ২ হাজার ২৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। দেশে মোট শনাক্ত রোগী ৪০ হাজার ৩২১ জন। মোট মৃত্যু ৫৫৯।
অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে সীমিত পরিসরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না; চলাফেরায় বিধি-নিষেধও আগের মতো থাকছে।
এছাড়া, এই সময়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিটি জেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে চেক পোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এটা বাস্তবায়ন করবে।
সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে৷ তবে মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা চলবে।
আন্যরা যা পড়েছেনঃ
প্রেমিকের লাশ ধানক্ষেতে, প্রেমিকা হিজড়া পল্লীতে
দিনাজপুর শহরের একটি ধানক্ষেত থেকে প্রেমিকের মরদেহ ও হিজড়া পল্লী থেকে তার প্রেমিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে নিহতের দুই বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাতে শহরের রামনগরের মানিকপীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুল ইসলাম সদর উপজেলার মণ্ডলপাড়ার ওহাব উদ্দিনের ছেলে। আটকরা হলেন- আরিফুলের বন্ধু লুৎফর রহমান, বিপ্লব ডন ও শাওন।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছে- মানিকপীর এলাকার একটি বাড়িতে আনন্দ-ফুর্তির আয়োজন করে আরিফুল ও তার বন্ধুরা। সেখানে আরিফুলের প্রেমিকা রেশমা আক্তার সিফাও ছিলেন। পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে ফেনসিডিল ও জুস পানের একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন আরিফ। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়ার নাম করে মোটরসাইকেলেসহ লাপাত্তা হয়ে যায় দুই বন্ধু। পরে তার লাশ নয়নপুরের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। ওই সময় আরিফুলের প্রেমিকাকে নিয়ে বাঙ্গীবেচার ঘাট এলাকার হিজড়া পল্লীতে একজন হিজড়ার আশ্রয়ে রেখে আসে অন্য বন্ধুরা।
কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে রেশমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় লুৎফর ও বিপ্লবকে আটক করা হয়। পরে নয়নপুরের ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রেশমার কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনায় নিশ্চিত হওয়া যায় মরদেহটি আরিফুলের।
তিনি আরো জানান, মরদেহ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মানিকপীরের সেই বাড়ি তল্লাশি করে আরিফুলের প্যান্ট, জুতাসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা করা হয়েছে। এ ঘটনার রহস্যভেদে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আন্যরা যা পড়েছেনঃ
ঘরের বাইরে ঝুলছিল তালা, মেঝেতে শিশুর মরদেহ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে রিমা নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক কিশোরের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বকুয়া গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল বারেকের ঘরের মেঝে থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রিমা একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত রাজু আব্দুল বারেকের ছেলে।
শিশুর বাবা সিরাজুল জানান, সকালে নাশতা খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রিমা। এরপর দীর্ঘক্ষণ না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। দুপুরে প্রতিবেশী আব্দুল বারেকের তালাবদ্ধ টিনশেড ঘরের মেঝেতে রিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর দিলে বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাজুর নাম উল্লেখসহ চারজনের নামে হত্যা মামলা করেন শিশুর বাবা সিরাজুল।
আন্যরা যা পড়েছেনঃ
সকালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, রাতে মিলল স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ
খুলনার রূপসা উপজেলার সামন্তসেনা এলাকায় সিরাজ শেখ নামে এক স’মিল মালিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ নিহত সিরাজ নৈহাটি ইউপির নেহালপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
রূপসা থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, সিরাজের বাড়ি নেহালপুর হলেও দ্বিতীয় বিয়ে করে সামন্তসেনা এলাকায় থাকতেন। সকালে নেহালপুর এলাকায় প্রথম বউ, ছেলে ও ভাইদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। রাতে স’মিলে সিরাজের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আন্যরা যা পড়েছেনঃ
জ্যান্ত অবস্থায় শিশু মাটিচাপা! কান্নার আওয়াজে উদ্ধার
রাখে আল্লাহ মারে কে? আবারো এক অমানবিক দৃশ্য দেখা গেলো ভারতের উত্তরপ্রদেশে। গ্রামে ঝোঁপঝাড়ের পাশে থাকা কাদামাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হলো এক সদ্যোজাতকে। জীবন্ত অবস্থাতেই শিশুটিকে সেখানে পুঁতে রাখা হয়েছিলো বলে ধারনা করা হচ্ছে।
শিশুটিকে কবর দিয়ে চলে যাওয়া হলেও তার একটি পায়ের পাতা কোনোভাবে মাটির উপরে থেকে যায়। সেই সঙ্গে কাদামাটির তলায় চাপা পড়া অবস্থায় চিৎকারে সেও নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছিল, যা কানে গিয়ে পৌঁছায় স্থানীয় মানুষজনের।
শিশুর কান্নাকে অনুসরণ করে এলাকার মানুষজন সেখানকার একটি বাড়ির পাশে থাকা ঝোপঝাড়ের কাছে গিয়ে সন্ধান শুরু করে। কাদা এবং বালিতে একাকার ওই এলাকায় সন্ধান চালাতে চালাতে এলাকাবাসি দেখতে পায় সদ্যোজাত শিশুটির মাটির উপরে বেরিয়ে থাকা পায়ের পাতায়। তারপরেই তাড়াতাড়ি কাদামাটির তলা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসী।
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থ নগরের সোনৌড়া গ্রামে কাদামাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় সদ্যোজাত শিশুটিকে
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থ নগরের সোনৌড়া গ্রামে কাদামাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় সদ্যোজাত শিশুটিকে
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থ নগর জেলার সোনৌড়া গ্রামের ওই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন থেকে পুলিশ প্রশাসন, সকলেই নড়েচড়ে বসেছে। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া শিশুটি একটি ছেলে।
নবজাতককে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে পরিষ্কার করে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। শিশুটির শরীরে করোনা সংক্রমণ আছে কিনা সেই পরীক্ষাও করা হয়। যদিও রিপোর্টে উদ্বেগজনক কিছু মেলেনি।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই নবজাতকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে তার পেটের মধ্যে কিছু কাদামাটি ঢুকে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হচ্ছে।