গ’ত মা’সে বাং’লা’দেশ না’রী দ’লে’র জ’ন্য সি’ঙ্গা’পুরে প্রী’তি ম্যা’চ খে’লা’র ব্য’ব’স্থা ক’রে’ছিল বা’ফু’ফে। শে’ষ মু’হূ’র্তে সি’ঙ্গা’পুর অ’পার’গতা প্র’কা’শ ক’রা’য় স’ফ’র’টি আ’র হ’য়”নি।আ’গা’মী ৫-১১ এ’প্রি’ল ২০২৪ প্যা’রি’স অ’লি’ম্পি’কে’র না’রী ফু’ট’ব’লের এ’শি’য়ান অ’ঞ্চ’লে’র বা’ছা’ই
খেলতে মেয়েদের মিয়ানমারেও পাঠাচ্ছে না বাফুফে।বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম গত পরশু বলেছেন, ‘দল পাঠাতে বাফুফের প্রয়োজনীয় অর্থের সংকুলান না থাকায় গত সপ্তাহে আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে আর্থিক সহায়তা
চেয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছিলাম না। অর্থের সংকুলান করতে না পারায় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে না।’এত দিন সবার কাছে ভিক্ষা চেয়েছি। এখন ভিক্ষার দরজাও বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়ন
হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন, সেনাবাহিনী দিয়েছে। আমাদের একটা স্পনসর আছে, ঢাকা ব্যাংক। ওরা বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো দেয়। বসুন্ধরা এখন পর্যন্ত দিয়েছে ২৫ লাখ টাকা। আমাদের ক্যাম্পে খাওয়ার খরচ বছরে
সাড়ে তিন কোটি টাকার মতো।ক্যাম্প চলছে না মেয়েদের? বিভিন্ন কাজ চলছে না? সেসব খাতে খরচ আছে। জাতীয় দলসহ আমাদের বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দল আছে। এখন ৭০ জন মেয়ে আছে বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে।সাফ জয়ের মাত্র ছয় মাসের
মধ্যে ‘টাকার অভাবে’ নারী দলকে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্টে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে বিস্ময়কর এবং হতাশার। প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করে দল বিদেশে পাঠানোর দায়িত্ব বাফুফের। সেই দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ তো বটেই, উল্টো
দায় দিচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ওপর।টুর্নামেন্টে দল পাঠাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে কেন আর্থিক সহায়তা চাইতে হবে বাফুফেকে? মেয়েদের ফুটবলে তো স্পনসর আছেই! গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করার ঘোষণা দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।তবে বাফুফের নারী ফুটবলের প্রধান মাহফুজা আক্তারের ব্যাখ্যা, চুক্তি অনুযায়ী নাকি পৃষ্ঠপোষকদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার খরচ দেওয়ার কথা নয়, ‘চুক্তিটা
হলো বাফুফে ভবনে মেয়েদের থাকা-খাওয়ার খরচে তারা কিছু অবদান রাখবে। আর মেয়েদের লিগটা স্পনসর করবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য তারা টাকা দেবে না।’বাফুফে বিওএকে কোনো চিঠি দেয়নি। মন্ত্রণালয়কে যে চিঠি দিয়েছে সেটার
কপি দিয়েছে শুধু আমাদের। বিওএর কাছে কোনো আর্থিক সহায়তার আবেদন তারা করেনি। করলেও এত টাকা আমরা কোথা থেকে দিতাম?অর্থের অভাবে অলিম্পিক বাছাইয়ে দল পাঠাতে না পারাটা মেনে নিতে পারছেন না বাফুফে সভাপতি
কাজী সালাউদ্দিনও। তবে তার এককথা, ‘এত দিন সবার কাছে ভিক্ষা চেয়েছি। এখন ভিক্ষার দরজাও বন্ধ হয়ে গেছে।’যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাফুফে এই সফরের জন্য অর্থসহায়তা চেয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের
(বিওএ) কাছেও। সেখান থেকেও ‘না’-ই শুনতে হয়েছে। সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘বিওএ বলেছে, টাকা না থাকলে দল যাবে না। মন্ত্রণালয় বলেছে, দিতে পারবে না। টাকা পেলে যাবে, না হয় যাবে না। আমি কোথা থেকে টাকা আনব?’
খেলতে যাওয়া-আসা, হোটেল খরচ, ভিসা ফি, স্থানীয় যাতায়াতসহ মিয়ানমারের সব খরচই বহন করতে হবে অংশগ্রহণকারী দলকে। বাফুফে দল পাঠালে সব মিলিয়ে ৬০-৭০ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন মাহফুজা। ‘এত দিন যত সমস্যাই হোক আমরা সমাধান করেছি। এবারই প্রথম অর্থের কারণে সফর বাতিল করেছি। কারণ, এটা অনেক বড় অঙ্কের টাকা’-বলেছেন তিনি।