৩ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে অবিশ্বাস্য এক মন্তব্য করলেন ইমরুল

খুলনা টাইগার্সের ছুঁড়ে দেয়া ২১১ রানের বড় লক্ষ্য অতিক্রম করতে গিয়ে দলীয় ২২ রানেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস। তারপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসের

রেকর্ড সংগ্রহ তাড়া করে জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আউট হয়েযাওয়ার অনুভূতি কারোরই ভালো লাগার কথা নয়। তবে নিজের আউট হয়ে যাওয়া দলের জন্য একরকম ‘আশীর্বাদ’ হয়েই এসেছে বলে ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন ইমরুল।

ইমরুল ফেরার পর মাত্র ৬৯ বলে ১২২ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান ও চার্লস। আর এই জুটিতেই ম্যাচ জয়ের ভিত পেয়ে যায় কুমিল্লা। ৩৯ বলে আটটি চার ও চারটি ছক্কায় ৭৩ রান করে আউট হন রিজওয়ান। তবে দলের ক্যারিবিয়ান রিক্রুট

চার্লস ৫৬ বলে পাঁচটি চার ও ১১টি ছক্কায় ১০৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন।তিন বলে পাঁচ রান করে আউট হওয়া ইমরুল তাই নিজের উইকেটকে দলের জন্য ‘আশীর্বাদ’ ভাবছেন। কেননা শুরুতেই দুই বলে চার রান করে

রিটায়ার্ড হার্ট হন কুমিল্লার ইনফর্ম ওপেনার লিটন দাস। আর ইমরুল আউট হওয়ার পরেই উইকেটে নেমে সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়েন চার্লস।ম্যাচ শেষে ইমরুল বলেন, ‘লিটন দাস যখন বাইরে চলে গেল, তখন আমরা একটু চিন্তিত হয়ে

পড়েছিলাম। কারণ, ও যদি পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দেয়… অবশ্যই ওর মতো ক্রিকেটার থাকলে যে কোনো দলের (প্রতিপক্ষ) জন্য কঠিন। তার পর আমি গিয়ে চেষ্টা করেছিলাম যেন অন্তত বল নষ্ট না হয়। আমি তা করতে পারিনি।’

‘শেষ পর্যন্ত এখন দেখতে পাচ্ছি যে, আমি আউট হয়ে একটি আশীর্বাদের মতো হয়ে গেছে। নাহলে চার্লস গিয়ে যে কাজটা করেছে, সেটা হতো না। তবে সব মিলিয়ে দারুণ দলীয় প্রচেষ্টা।’
ম্যাচটিতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে

নিধারিত ২০ ওভারে দুই উইকেটে ২১০ রান করে খুলনা। ওপেনার তামিম ইকবালের ৬১ বলে ৯৫ এবং শাই হোপের ৫৫ বলে অপরাজিত ৯১ রানের সুবাদে এই লক্ষ্য দাঁড় করায় তারা।আর ইমরুল ফেরার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই লক্ষ্যকে

মামুলি বানিয়ে ফেলেন রিজওয়ান ও চার্লস। শুরুতে কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও নাসুম আহমেদের বলে রিজওয়ান আউট হওয়ার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। যার কারণে দশ বল হাতে রেখেই এই জয় পায় কুমিল্লা।