কী ঘ’ট’তে যা’চ্ছে ১৫ র’ম’জা’ন? পৃ’থি’বী ‘ধ্বং’স হ’য়ে যা’বে এ’ম’ন গু’জ’বে স’য়’লা’ব সা’মা’জি’ক যো’গা’যো’গ মা’ধ্য’ম। স’র্ব’ত্র এ’ক’ই আ’লো’চ’না চ’ল’ছে। এ স’ম্প’র্কে কো’র’আ’ন-হা’দি’সে’র সু”স্প’ষ্ট কো’নো ব্যা’খ্যা আ’ছে কি?বে’শ ক’য়ে’ক’দি’ন ধ’রে ‘সা’ধা’রণ
মা’নু’ষে’র মা’থা’য় শু’ধু এ’ক’টা ক’থা’ই ঘু’র’পা’ক খা’চ্ছে। ১৫ র’ম’জা’ন শু’ক্র”বার পৃ’থি’বী’তে কি ঘ’ট’তে ‘যা’চ্ছে? বি’শে’ষ ক’রে বাং’লা’দে’শ’স’হ বে’শ ক’য়ে’ক’টি দে’শে এ’বা’রে’র র’ম’জা’ন শু’ক্র’বা’র দি’য়ে শু’রু হও’য়া’য় এ বি’ভ্রা’ন্তি ‘আ’রো বে’শি ছ’ড়া’চ্ছে। কি’ন্তু এ’ক’টি
বি’ষ’য় বো’ধ’গ’ম্য ন’য় যে, সৌ’দি আ’র’ব’স’হ অ’নে’ক দে’শে শু’ক্র’বা’র রো’জা শু’রু হ’য়’নি এ’বং ১৫ র’ম’জা’নও শু’ক্র’বা’র ন’য়। ত’বে কি তা’রা এ’র ব্য’তি’ক্র’ম? তা’রা পৃথি’বী’র ধ্বং’স’য’জ্ঞ থে’কে বেঁ’চে যা’বে?স’ম্প্র’তি ছ’ড়ি’য়ে প’ড়া’ পৃ’থি’বী ধ্বং’সে’র বি’ষ’য়’টি এ’ক’টি
গু’জ’ব। কে’নো না কে’য়া’ম’তে’র স’ব’চে’য়ে ব’ড় আ’লা’ম’ত হ’লো ই’মা’ম মা’হ’দি’র আ’ত্ম’প্র’কা’শ। ন’বী’জি সা’ল্লা’ল্লা’হু আ’লা’ই’ ও’য়া সা’ল্লা’ম থে’কে ব’র্ণি’ত ভ’বি’ষ্য’দ্বা’ণী’র আ’লো’কে আ’হ’লে সু’ন্না’ত ও’য়া’ল জা’মা’তে’র আ’কি’দা-বি’শ্বা’স হ’লো শে’ষ জ’মা’না’য় প্র’তি’শ্রু’ত
ইমাম মাহদির আবির্ভাব সত্য। ইমাম মাহদি নবী-পরিবার থেকেই হবেন। হাদিসে পাকে এসেছে-হযরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, মাহদি আহলে বাইতের
ফাতেমি বংশ থেকেই হবেন। (আবু দাউদ ৪২৮৪)পৃথিবী ধ্বংস পূর্ব অবস্থা কেমন হবে?রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, যদি কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার মাত্র একদিনও অবশিষ্ট থাকে তবুও আল্লাহ তাআলা ওই দিনকে
দীর্ঘ করবেন এবং আমার বংশের এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন। তার নাম আমার নামের সঙ্গে এবং তার পিতার নাম আমার পিতার নামের সঙ্গে মিলে যাবে। (আবু দাউদ ৪২৮২)১৫ রমজান সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসের বর্ণনাটি কি সঠিক?
ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশের আলামত সংক্রান্ত একটি হাদিস এসেছে। কোনো এক জুমাবার হবে ১৫ রমজানে। সেদিন আকাশে বিকট আওয়াজ হবে। হাদিসটি ফিরোজ দায়লামি বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব
লেছেন, কোনো এক রমজানে আওয়াজ আসবে। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?’ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না, বরং রমজানের
মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় ৭০ হাজার মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে আর ৭০ হাজার বধির হয়ে যাবে।
ইমাম ইবনুল কাইয়িম বলেন, অগ্রিম তারিখ নির্ধারণ
করে বিভিন্ন ঘটনার বেশ কিছু হাদিস পাওয়া যায়। সেগুলো সহিহ নয়। এর মধ্যে একটি হলো- অর্ধ রমজানের জুমার রাতে একটি আওয়াজ হবে। এতে ৭০ হাজার মানুষ বেহুশ হয়ে পড়ে যাবে.. ৭০ হাজার মানুষ বোবা হয়ে যাবে..। (আল মানারুল মুনিফ: ৯৬ পৃষ্ঠা)
১৫ রমজান মধ্য রাতে বিকট শব্দ সম্বলিত হাদিসটি সঠিক নয় মর্মে মুহাদ্দিসিনের কেরাম অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং এসব ভিত্তিহীন গুজব থেকে সাবধান থাকা জরুরি।সুতরাং যেসব দলিলযোগ্য গ্রহণযোগ্য নয় এমন বর্ণনা প্রচার করা থেকেও
সাবধান থাকতে হবে। কেয়ামতের আলামত সম্বলিত অনেক হাদিস আছে। যথাসম্ভব ওসব হাদিস নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। ভিত্তিহীন গুজবে কান না দিয়ে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাই জরুরি।