আ’ই’পি’এ’লে’র প্র’ত্যে’ক’টা ম্যা’চ যে’ন এ’ক’টা অ’রে’ক’টা’কে ছা’ড়ি’য়ে দি’চ্ছে। প্র’ত্যে’ক ম্যা’চ গ’ড়া’চ্ছে শে’ষ ও’ভা’রে’র শে’ষ ব’লে’র রু’দ্ধ’শ্বা’স প’রি’স্থি’তি’তে। তৈ’রি হ’চ্ছে চ’র’ম উ’ত্তে’জ’না’র প’রি’স্থি’তি।পে’ন্ডু’লা’মে’র ম’তো দু’ল’ছে খে’লা। রং ব’দ’লা’চ্ছে প্র’ত্যেক মু’হূ’র্তে।
স’ক’লে’র হৃ’দ’স্প’ন্দ’ন বা’ড়ি’য়ে চ’লে’ছে আ’ই’পি’এ’লে’র ম্যা’চ’গু’লি। সে র’ক’ম’ই আ’র’ও এ’ক’টি রো’ম’হ’র্ষ’ক ম্যা’চ হ’য়ে গে’ল ম’ঙ্গ’ল’বা’র রা’তে।দি’ল্লি ক্যা’পি’টা’লস ব’না’ম মু’ম্ব’ই ই’ন্ডি’য়া’ন্সে’র ম’ধ্যে। শে’ষ ব’লে’র চূ’ড়া’ন্ত না’ট’কে শে’ষ হা’সি হা’স’লে’ন রো’হি’ত শ’র্মা। ২ ম্যা’চ
হা’রে’র প’র অ’ব’শে’ষে তৃ’তী’য় ম্যা’চে ম’র’শু’মে’র প্র’থ’ম জ’য় পে’ল মু’ম্ব’ই।আ’র ঘ’রে’র মা’ঠে টা’না চা’র ম্যা’চ হা’রে”র ল’জ্জা’র ন’জি’র গ’ড়ে মা’থা নী’চু ক’রে ‘মা’ঠ ছা’ড়’ল ডে’ভি’ড ও’য়া’র্না’র ব্রি’গে’ড।২০২৩ সা’লে আ’ই’পি’এ’লে’র অ’ভি’যা’নে’র শু’রু’তে’ই টা’না চা’র ‘ম্যা’চে
হা’র’ল দি’ল্লি। আ’ইপি’এ’লে’র ই’তি’হা’সে এ’টা তা’দে’র দ্বি’তী’য় জ’ঘ’ন্য শু’রু। এ’র আ’গে ২০১৩ সা’লে’ দি’ল্লি ক্যা’পি’টা’ল’স টা’না ছ’য় ম্যা’চ হে’রে’ছি’ল।এ’ই ব’ছ’র সে’ই হা’রে’র সং’খ্যা’টা ইতি’ম’ধ্যে পৌঁ’ছে গি’য়ে’ছে চা’রে। আ’র’ও ল’জ্জা বা’ড়ি’য়ে হা’রে’র সং’খ্যা’টা পা’ল্টা’বে
কিনা, সে কথা সময়ই বলবে!ঘরের মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দিল্লি। আরও এক বার ব্যর্থ হন পৃথ্বী শ’। মাত্র ১৫ রান (১০ বলে) করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার জুটি গড়েছিলেন।
কিন্তু রানের গতি খুব একটা বেশি ছিল না। বাধ্য হয়ে মারতে গিয়ে পীযূষ চাওলার বলে ২৬ রান (১৮ বলে) করে আউট হন মণীশ।ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক যশ ধুলের এই ম্যাচে আইপিএলে অভিষেক হয়। কিন্তু তিনিও হতাশ করেন।
৪ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন যশ।দিল্লির মিডল অর্ডারকে ধরাশায়ী করলেন পীযূষ। ৩ উইকেট নেন তিনি। অন্য দিকে একের পর এক উইকেট পড়লেও টিকে ছিলেন ওয়ার্নার। ৪২ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে আবার উদ্ধার করলেন অক্ষর। শুরু থেকেই বড় শট মারতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ২২ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন অক্ষর।চলতি মরশুমে এটি তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতরান। তবে ২৫ বলে ৫৪ রান করে ছক্কা
মারতে গিয়ে আউট হন অক্ষর। সেই ওভারেই ৪৭ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার।শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। পীযূষ ছাড়াও জেসন বেহরেনডর্ফ ৩ উইকেট নিয়েছেন। রিলি মেরেডিথ নিয়েছেন ২ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার। রোহিতের পাশাপাশি ভালো খেলছিলেন ইশান কিষাণও। তবে রোহিতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৩১ রান (২৬ বলে) করে ইশান আউট হলে রানের গতি সাময়িক ধাক্কা খায়।
তবে রোহিতের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিন নম্বরে নামা তিলক বর্মা। চলতি মরশুমে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিলক। ৩০ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন রোহিত। আইপিএলে ২৪ ইনিংস পরে ৫০ রান এল তাঁর ব্যাট থেকে।
শেষ ৫ ওভারে জিততে ৫০ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের। ১৬তম ওভারে বল করতে আসেন বাংলার মুকেশ কুমার। তাঁর প্রথম তিন বলে তিলক ১টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান।কিন্তু পঞ্চম বলে মারতে গিয়েই আউট হন তিলক। ২৯ বলে ৪১ করে
আউট হন তিনি। পরের বলেই গোল্ডের ডাক করে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব।এই ওভারই বদলে দেয় খেলার রং। যেখানে মনে করা হচ্ছিল সহজ জয় পাবে মুম্বই, সেখানে তারা চাপে পড়ে যায়। পরের ওভারেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে
উড়ে গিয়ে রোহিতের ক্যাচ ধরেন অভিষেক পোড়েল। ৪৫ বলে ৬৫ রান করে রোহিত ফিরতেই দিল্লি যেন অক্সিজেন পায়।শেষ ১২ বলে মুম্বইয়ের দরকার ছিল ২০ রান। মুস্তাফিজুরের এক ওভারে ১৫ রান নেন টিম ডেভিড এবং ক্যামেরন গ্রিন। শেষ ৬ বলে ৫ রান দরকার ছিল।
দ্বিতীয় বলে ডেভিডের ক্যাচ ফস্কান মুকেশ। পরের বল ডেভিডের প্যাডে লাগায় ওয়াইড হয়নি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। দৌড়ে সেই রান তুলে নেন মুম্বইয়ের দুই ব্যাটার। ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই।