ব’ঙ্গ’বা’জা’রে মে’য়ে’দে’র থ্রি’পি’স, শা’ড়ি’স’হ বি’ভি’ন্ন ধ’র’নে’র জা’মা বি’ক্রি ক’র’তে’ন কু’মি’ল্লা’র ব্য’ব’সা’য়ী নূ’র আ’ল’ম। গ’ত’কা’লে’র আ’গু’নে তা’র দু’টি দো’কা’নে’র ৮০ লা’খ টা’কা’র স’ব মা’লা’মা’ল পু’ড়ে ছা’ই হ’য়ে’ছে। স’ব হা’রি’য়ে পু’ড়ে যা’ও’য়া দো’কা’নে দাঁ”ড়ি’য়ে
অ’ঝো’রে কাঁ’দ’ছে’ন নূ’র আ’ল’ম। ব’ন্ধু-বা’ন্ধ’ব,আ’শ’পা’শে’র দো’কা’ন’দা’র কে’উ তা’র কা’ন্না থা’মা’তে পা’র’ছে না। বু’ধ’বা’র স’রে’জ’মি’নে গি’য়ে দে’খা যা’য় নূ’র আ’ল’মে’র দো’কা’নে’র আ’র কো’নো ‘চি’হ্ন নে’ই, প’ড়ে আ’ছে শু’ধু ছা’ই। সে’ই ছা’ই’য়ে’র ও’প’র দাঁ’ড়ি’য়ে অ’ঝো’রে
কাঁদলেন নূর আলম। ভাই শাওন আলম তাকে থামানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু কিছুতেই শান্ত হচ্ছেন না নূর আলম।নূর আলমের দোকানের নাম ছিল মল্লিকা গার্মেন্টস। কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, এই মার্কেটে আমার দুটি
দোকান ছিল। এখন একটি দোকানও নেই। নগদ টাকা যা ছিল বস্তায় ভরেছিলাম। সব কিছু পুড়ে ছাই, এখন কিছু নেই।তিনি বলেন, আগুন লাগার পর আমি মাল সরাতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু এক সুতা কাপড় নিতে পারিনি। কারণ কাপড়ের
বস্তার নিচে আমার পা পড়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, আমার দুটি সন্তান, বাসায় এক কেজি চাল নেই ঘরে। আমার স্ত্রীকে বলছি, আজকে চলো, কালকে দেখবোনি।নূর আলম জানান, ঈদ ঘিরে স্ত্রীর গহনা, জমি বন্ধক এবং ব্যাংক ঋণ নিয়ে
৬০ লাখ টাকার মালামাল কিনেছিলেন তিনি। সব মিলে দোকানে এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। এখন আর কিছু নেই।গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে
পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই আগুন কেড়ে নেয় সব। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের মার্কেটগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই
আগুনে আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।