বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে গেল দুই বছর নিয়মিত মুখ ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পরই বাতিলের খাতায় নাম উটে গেল এই ক্রিকেটারের। টাইগারদের হেডমাস্টারের কথায় স্পষ্ট,
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো না করলে আফিফের আরেকবার সুযোগ পাওয়া হচ্ছে না। তবে ভালো করলে তার জন্য দড়জা খোলা।চলতি মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি থেকে আফিফকে বাদ দেয়ার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম
দুই ওয়ানডে দলে রাখা হয় তকে। তবে সুযোগ পায়নি একাদশে। তৃতীয় ম্যাচে ফের বাদ পড়েন আফিফ। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও তাকে রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
আফিফকে বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে হাথুরুসিংহে বলেন,
‘অবশ্যই (পারফরম্যান্সের কারণে বাদ)। তার চেহারার কারণে না, পারফরম্যান্সের জন্যই। যে কেউ বাদ পড়লেই পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়ে। কখনো কখনো আবার টেক্টিকাল কারণ যদি আমরা আলাদা কিছু করতে চাই, আলাদা
কাউকে দেখতে চাই; এটাও কখনো কখনো কারণ হয়।’ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাকে খেলানো হয়নি। টানা ৬১ টি-টোয়েন্টি খেলার পর তাকে বাদ দেওয়া হয় যা বাংলাদেশের দলের ক্রিকেটারদের জন্য রেকর্ড হয়েছিল।
৬২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে কেবল তিন ফিফটি করেছেন। ২১.২৫ গড়ে করেছেন ১০২০ রান।হাথুরুসিংহে আরও বলেন, ‘সে দলের বাইরে আছে এখন। তার এখন যা করা দরকার, তাই করতে হবে। গিয়ে রান করতে হবে। আমি তার সঙ্গে কিছু জায়গায় উন্নতির ব্যাপারে কথা বলেছি। যদি সে এটা করতে পারে, তাহলে যদি দলে কাউকে লাগে। তাহলে সবার মতোই সেও সুযোগ পাবে।’