টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের যষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। টানা ষষ্ঠ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে আগে ব্যাটিং করে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট
হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করেছে স্ট্রাইকার্স ব্যাটাররা।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদেই পড়ে গিয়েছিলো সিলেট।
সিলেটকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ও শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা। অষ্টম উইকেটে এই দুজনের ৬৩ বলে ৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শুরুর মহাবিপদ কাটিয়ে সম্মানজনক পুঁজি পেল
মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স।৫৩ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। ইমাদ ৪০ ও পেরেরা ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন।ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ
বলে ছক্কা মারেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস। তবে জাতীয় দলে সতীর্থ পেসার হাসান আলির পরের ডেলিভারিতেই আউট হন ৬ বলে ৭ রান করা হারিস।পরের দুই ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় সিলেট। পেসার আবু হায়দারের করা তৃতীয়
ওভারে প্রথম বলে বিদায় নেন তিন নম্বওে নেমে ১ রান করা আকবর আলি। পরের ওভারের চতুর্থ বলে ৯ রান করা জাকির হাসানকে ফেরান হাসান। এতে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রানে পরিনত হয় সিলেট।
চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও, বেশি দূর যেতে পারেননি ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। নবম ওভারে দ্বিতীয়বারের মত আক্রমণে এসে প্রথম দুই বলেই শান্ত-মুশফিককে তুলে নেন পেসার মুকিদুল ইসলাম।
শান্ত ১৯ বলে ১৩ ও মুশফিক ৩টি চারে ১৫ বলে ১৬ রান করেন। ২৮ বলে ২৮ রান যোগ করেন শান্ত-মুশফিক জুটি।একই ওভারের শেষ বলে রান আউট হন শরিফুল্লাহ।পরের ওভারে স্পিনার তানভীর ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে
ক্যাচ দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।এতে ৫৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে সিলেট। কিন্তু লোয়ার-অর্ডারে সেটি হতে দেননি ইমাদ ওয়াসিম-থিসারা পেরেরাস জুটি।
অষ্টম উইকেটে ৬৩ বলে ৮০ রান তুলে সিলেটকে ৭ উইকেটে ১৩৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন ইমাদ ও পেরেরা। ইমাদ ৩২ বলে অপরাজিত ৩৯ ও পেরেরা ৩২ বলে অনবদ্য ৪৪ রান করেন। ইমাদ ৩টি চার ও ১টি ছয় এবং পেরেরা ২টি করে চার-ছয় মারেন। কুমিল্লার হাসান-মুকিদুল ২টি করে উইকেট নেন।