পু’ল, ক’ভা’র ড্রা’ই’ভ, স্ক’য়া’র কা’ট, ফ্লি’ক কিং’বা ‘স্ট্রে’ইট ড্রা’ই’ভ, কি থা’কে না লি’ট’নের দা’সে’র ই’নিং’সে। চো’খে লে’গে থা’কা’র ম’তো না’ন্দনি’ক স’ব শ’টে প্র’তিপ’ক্ষে’র বো’লা’রদে’র তু’লো’ধু’নো ক’রে’ন বাং’লা’দে’শে’র এ’ই ও’পে’না’র।ক’দি’ন আ’গে ইম’রু’ল কা’য়েস
বলেছিলেন, লিটনের ব্যাটিং দেখলে টিভির সামনে থেকে উঠা যায় না। এবার ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পল স্টার্লিং। আয়ারল্যান্ডের অধিনায়কের মতে, লিটনকে দেখলে মেনে হয় ব্যাটিং করাটা সহজ।
সময়টা ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে। সেদিন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের ছন্দ মিলিয়েছিলেন লিটন। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সেদিন খেলেছিলেন ৯৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। সেদিন ধারাভাষ্য
কক্ষে ছিলেন ইয়ান বিশপ।জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার সেদিন ধারাভাষ্য বক্সে বসে সেদিন বলেছিলেন, ‘লিটন যখন ব্যাট করে, মনে হয় মোনালিসার মতো কোনো চিত্রকর্ম দেখছি।’
শুধু বিশপ নন, বেশ কয়েকজন লিটনের ব্যাটিংয়ের প্রতি
মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন হার্শা ভোগলে। আয়ারল্যান্ড সিরিজেও নিয়মিত দেখা মিলছে লিটনের শৈল্পিক ব্যাটিং।বাংলাদেশি এই উইকেটকিপার ব্যাটারের কপিবুক শট দেখে সমর্থকরা কখনও আগে-পরে বসিয়ে দিচ্ছেন নানারকম বিশেষণ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দারুণ শুরু করেছিলেন লিটন। যদিও সেটার পূর্ণতা দিতে পারেননি তিনি।তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ সব শটে ৪১ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন। আয়ারল্যান্ডকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন
এই ব্যাটার। বিশ্বকাপের উদাহরণ দিয়ে স্টার্লিং জানিয়েছেন, লিটনের ব্যাটিং দেখা চোখের জন্য প্রশান্তি।সংবাদ সম্মেলনে স্টার্লিং বলেন, ‘সে (লিটন দাস) দারুণ একজন ক্রিকেটার। আপনি জানেন সে কতটা ভালো। আমরা বিশ্বকাপেও এমন
বেশ কয়েকটি ইনিংস দেখেছি। তাকে দেখলে মনে হয় ব্যাটিং করাটা খুবই সহজ। তার ব্যাটিং দেখাটা চোখের প্রশান্তি।আর কিছু বলতে চাই না।’পুরো সিরিজ জুড়েই ছন্নছড়া ছিলেন আয়ারল্যান্ডের বোলাররা। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে,
কোথাও বাংলাদেশের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি মার্ক অ্যাডায়ার-গ্রাহাম হিউমরা।সফরকারী বোলাররা মানসিকভাব খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের অধিনায়কের কাছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে স্টার্লিং বলেন, ‘এটা ভালো প্রশ্ন করেছেন। আমি আসলে এমন কিছু দেখছি না। আমার কাছে মনে হয় তাদের (বোলাররা) সামর্থ্য আছে এবং তারা উন্নতি করতে চায়। আমাদের আসলে এমন কঠিন উইকেট নেয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
সবাই সেই চেষ্টা করছে। আপনি যদি ম্যাচের আগে আমাদের খেয়াল করেন তাহলে আমরা সবাই খুব আশাবাদী ছিলাম। কয়েক ওভার ফিল্ডিং করার পর মনে হয় আমরা হাঁপিয়ে যাই। আমাদের এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’