মঠবাড়িয়ায় গৃহবধূকে মারধরের মামলায় ১ জন কারাগরে

তরিকুল ইসলাম, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: গত ১৫ নভেম্বর ২০২২ চুরি করে হাতেনাতে ধরা পড়ায় গৃহবধূকে মারধরের ঘটনায় মঠবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলায় ১ নং আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়: গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ দুপুরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব রাজপাড়া গ্রামে প্রবাসী দুলাল হাওলাদারের ঘরে চুরি রত অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগমের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী মাসুদ খানের স্ত্রী রুমা বেগম, চুরির ঘটনা ধরাপরায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রুমা দ্রুত বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডেকে এনে শাহনাজ কে বেদম মারধর করে এতে শাহনাজের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটাছেঁড়া ও রক্তাক্ত জখম হয় একপর্যায়ে শাহনাজ ঘরের মেঝেতে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকলে স্থানীয় কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। শাহনাজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩-১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসা নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ নভেম্বর মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে তিনি একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং এমপি ৬১৩)।

আজ ১২ জুলাই ২০২৩ ওই মামলার শুনানি শেষে প্রধান আসামী ও উপজেলার পূর্ব রাজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলী খানের পুত্র জাকির হোসেন খানকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন মঠবাড়িয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আতিকুজ্জামান এ সময় ২নং আসামি ও প্রধান আসামির পুত্র মাহমুদ নবী খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ৩ নং আসামি রুমা বেগম ও ৪ নং আসামি হাসি বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য: বিষয়টি সরেজমিন অনুসন্ধান করে জানা যায়: ঘটনার দিন হামলার শিকার ভুক্তভোগী শাহনাজকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় মোশারফ হোসেন, মেহেদী হাসান, হাসান হাওলাদার ও পারুল বেগমের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ২২ নভেম্বর রুমা বেগম বাদী হয়ে একই ঘটনা উল্লেখ করে একটি বানোয়াট মামলা দায়ের করেন (মামলা নং এমপি ৬২২)। তবে ঘটনার দিন ওই কাউন্টার মামলার আসামিদের কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না তারা ঘটনা শুনে পরে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীদের কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।