এ’বা’র ঘ’টা ক’রে উ’ড়ি’য়ে নি’য়ে গি’য়ে’ও মু’স্তা’ফি’জু’র র’হ’মা’ন’কে প্র’থ’ম ম্যা’চে ব’সি’য়ে রা’খ’ল দি’ল্লি ক্যা’পি’টা’লস। কা’টা’র মা’স্টা’রে’র অ’নু’প’স্থি’তি’তে ব্য’র্থ হ’য়ে”ছে’ন ‘দি’ল্লি’র বো’লা’র’রা।তাতে লখ’নৌ সু’পার জা’য়ান্ট’ স্কো’র’কা’র্ডে জ’মা ক’রে’ছে ব’ড় সং’গ্রহ। বো’লার’দের
প’র ব্যা’টার’দে’র ব্য’র্থ’তায় দি’ল্লি’র শু’রু’টা হ’লো হা’র দি’য়ে। ভা’র’তর’ত্ন শ্রী অ’ট’ল বি’হা’রি বা’জ’পে’য়ী ক্রি’কে’ট স্টে’ডি’য়া’মে গ’ত’কা’ল শ’নি’বা’র ১ এ’প্রি’ল স্বা’গ’তি’ক ল’খ’নৌ সু’পা’র জা’য়া’ন্ট’স রা’নে হা’রি’য়ে’ছে স’ফ’র’কা’রী দি’ল্লি ক্যা’পি’টাল’সকে। এ’দি’ন ট’স জি’তে
আগে ফিল্ডিং নেয় দিল্লি।নিজেদের মাঠে কাইল মেয়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ করে লখনৌ। জবাবে মার্ক উডের বোলিং তোপে দিল্লি ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৪৩ রান।
ফলে ৫০ রানের জয় পায় লখনৌ। ৫ উইকেট নিয়েছেন এই ইংলিশ পেসার। ভাড়া করা বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে গেলেও মুস্তাফিজকে প্রথম ম্যাচে একাদশে রাখেনি সফরকারী দলটি।
এমনকি বেঞ্চের অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের তালিকাতেও
তার নাম নেই। বোলিং এটাকিংয়েও ছিল না কোনো বিদেশী বোলার।তবে তাকে যেভাবে ঘটা করে নিয়ে যাওয়া হলো, তাতে অনেকে মনে করেছিলেন প্রথম ম্যাচেই দেখা যাবে কাটার মাস্টারকে। ম্যাচে অবশ্য কাটার মাস্টারের অভাব হাড়ে
হাড়ে টের পেয়েছে দিল্লি।বল হাতে ব্যর্থ হয়েছেন চেতন সাকারিয়া। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৩ রান। দিল্লির বোলারদের তুলোধুনো করেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার কাইল মেয়ার্স। মাত্র ৩৮ বলে ২ চার ও ৭ ছয়ে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এছাড়া ২১ বলে ৩৬ রান করেন নিকলাস পুরান। বাকিদের ছোট ছোট সংগ্রহও অবদান রেখেছে লখনৌয়ের বড় সংগ্রহ অর্জনে। দিল্লির পক্ষে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ।
২ উইকেট নিয়েছেন চেতন সাকারিয়াও, তবে তিনি রান দিয়েছেন মুক্তহস্তে। অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব ১টি করে উইকেট নেন। এদিন দিল্লির পক্ষে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে খলিল আহমেদের বদলি হয়ে মাঠে নামেন ব্যাটার আমান হাকিম খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে লখনৌয়ের পেসারদের তোপে পড়েন দিল্লির ব্যাটাররা। ৪৮ রান তুলতেই উড ও আভেশ খানের আগুনে বোলিংয়ে বিদায় নেন পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ ও সরফরাজ খান।এদের মধ্যে মার্শ তো রানের খাতাও খুলতে পারেননি।
দিল্লির হয়ে এদিন যা একটু রান করেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও রাইলি রুশো। তবে ৫৬ রান করতে ৪৮ বল খেলেন ওয়ার্নার।৭ চারে খেলা ইনিংসটি দিল্লির হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজেই আসেনি। ২০ বলে ৩০ রান করেন রুশো।
বাকিদের মধ্যে শুধু অক্ষর প্যাটেলই পেরেছেন দুই অঙ্কের রান করতে। ১১ বলে ১৬ রান করেন তিনি।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করতে সমর্থ হয় দিল্লি। লখনৌয়ের হয়ে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে আয়ুশ বাদানির
বদলি হিসেবে খেলেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।বল হাতে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ২৩ রান দেন তিনি। এর আগে ইনিংসের শেষ বলে নেমে মেরেছেন ছয়। লখনৌয়ের পেসার মার্ক উড প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই পেয়েছেন পাঁচ উইকেট।
৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন আভেশ খান ও রবি বিষ্ণয়ি। গতকাল ম্যাচ শেষে ওয়ার্নার বলেন, “ম্যাচটা কিছুটা চেলেঞ্জিং ছিল।প্রথম দিকে আমাদের ফাস্ট বোলাররা ভাল ছন্দে ছিল।
তারা পাওয়ার প্লেতে খুব ভাল বোলিং করেছে। কেউ আসলে ইচ্ছা করে ক্যাচ মিস করতে চায় না এবং ক্যাচ মিসের সাথে সাথে আমাদের খেলার ছন্দ কিছুটা হারিয়েছে।এই উইকেট লখনউ খুব ভাল ব্যাটিং করেছে যেখানে আমি মনে করেছিলা
১৭০ রান হবে। তারা খুবই চমৎকার খেলেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাল পার্টনারশিপ করতে চেয়েছিলা কিন্তু মার্ক উড সেটা হতে দেয় নি। সে একজন অসাধারণ বোলার এবং আজকের ম্যাচে সে দক্ষতা খুব ভাল মত দেখিয়েছেন।
আমার মনে হচ্ছিল যে তারা এক উইকেটে বোলিং করছে আর আমরা আরেক উইকেটে বোলিং করেছি। যাইহোক এইটা আমাদের প্রথম ম্যাচ। আমরা আমাদের হোম গ্রাউন্ডে খুব ভাল মত ফিরে আসবো।বোলিং এটাকিংয়ে আমরা বিদেশী বোলার রাখার মত কাউকে পায়নি। সে (মুস্তাফিজ) কেবলই দলের সাথে যোগ দিয়েছে তাই তাকে নিয়ে দল সাজানো হয় নি।”