বিরাট ‘শয়তানি’ ইচ্ছার কথা ফাঁসঃ ধোনির বিরুদ্ধে চরম ষড়যন্ত্র করেছিল কোহলি

২০১৬-য় নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন বিরাট কোহলি। এতটাই যে শাস্ত্রীকে আসরে নেমে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। শাস্ত্রী কোহলিকে বোঝান, ধোনির বিচক্ষণতার ওপর ভরসা রেখে নূন্যতম সম্মান জানানো হোক ওঁকে।

এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে জাতীয় দলের সদ্য প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের নতুন বইয়ে।আর শ্রীধরের প্রকাশিত বই ‘কোচিং বিয়ন্ড: মাই ডেজ উইথ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম’-এর সহ লেখক আর কৌশিক। এই বইয়েই

তিনি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট ধোনি-কোহলি জমানায় পরিচালিত হত। শ্রীধর তাঁর বইয়ে লিখেছেন, “কোচিং গ্রুপে যে বিষয় নিয়ে কোনও আপস করা হত না তা হল সৎ থাকা। দলের মধ্যে একটা সংস্কৃতি

গড়ে উঠেছিল যেখানে যে কোনও ক্রিকেটারের চোখের দিকে তাকিয়ে তাঁর বিষয় পড়ে ফেলা যেত। তা যতই তিক্ত বা অস্বস্তিকর হোক না কেন!”এই বইয়েরই ৪২তম পাতায় ‘ক্র্যাকিং দ্য কমিনিকেশন কোড’ শীর্ষক চ্যাপ্টারে কোহলির

নেতৃত্ব পাওয়ার উদগ্র বাসনা প্রকাশ পেয়েছে। কোহলি সেই সময়েই টেস্ট দলে ধোনির কাছ থেকে নেতৃত্বের ব্যাটন পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তখনও নেতা ছিলেন ধোনি। ধোনির ডেপুটি ছিলেন কিং কোহলি।“২০১৬-য়

একটা সময় ছিল যখন কোহলি ওয়ানডে, টি২০-র নেতৃত্ব পাওয়ার জন্যও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। ও এমন কিছু কথা বলেছিল যাতে ইঙ্গিত মিলেছিল ও সীমিত ওভারেও ক্যাপ্টেন হতে চায়। একদিন সন্ধ্যের সময় রবি শাস্ত্রী তাঁকে ডেকে বললেন,

‘শোনো বিরাট, এমএম তোমার জন্য টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছে। ওঁকে সম্মান জানানো উচিত। সঠিক সময় এলে সীমিত ওভারের নেতৃত্বও ও তোমাকে দিয়ে দেবে। তুমি যদি ধোনিকে এখন সম্মান না জানাও, তাহলে তুমি নেতা হলে দলের

কাছ থেকে সেই সম্মান ফেরত পাবে না।”শ্রীধরের বক্তব্য অনুযায়ী, ধোনি যতদিন না স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব কোহলির হাতে তুলে দিচ্ছেন, ততদিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন কোচ শাস্ত্রী। “যাই ঘটুক না কেন, ধোনিকে সম্মান প্রদর্শন করো। তোমাকে

নেতৃত্বের পিছনে ছুটতে হবে না। এটা তোমার কাছেই আসবে। বিরাটও শাস্ত্রীর এই পরামর্শ মেনে নেন। তবে কোহলিকে বেশিদিন সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্বের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। এক বছরেই মধ্যেই কোহলিকে সীমিত ওভারের

ক্রিকেটেও নেতা ঘোষণা করা হয়।” এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীধর।শাস্ত্রীকে দলের মধ্যে ‘দুর্ধর্ষ জোগাযোগকারী’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে এই বইয়ে। কোনও ক্রিকেটার বাদ পড়লে তাঁকে জানানোর মত অপ্রীতিকর বিষয়টিও শাস্ত্রী নিজেই করতেন। কোনও সাপোর্ট স্টাফের মাধ্যমে নয়, অস্বস্তিকর এই বিষয়ে সংশ্লিস্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে নিজেই কথা বলতেন শাস্ত্রী।