এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুরু থেকেই সমালোচনার মধ্যে ছিল অ্যাডিশনাল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (এডিআরএস)। শুরু থেকেই এর কঠোর সমালোচনা করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হেড কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
এবার এডিআরএসের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে কুমিল্লা। তাই আবারও এডিআরএস নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন সালাহউদ্দিন।ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৪৫ বলে অপরাজিত ৮১ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৭
রান করে ফরচুন বরিশাল। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাকের আলী অনিকের উইকেট হারায় কুমিল্লা।১৪তম ওভারে ইফতিখার আহমেদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন জাকের। শুন্য রানে আউট হওয়া জাকের
অবশ্য রিভিউ নেন। কিন্তু এডিআরএসে দেখা যায় বল পিচ হয়েছে লেগ স্টাম্পেরও বাইরে। এদিকে তৃতীয় আম্পায়ারও বহাল রাখেন অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত! মাঠ ছাড়তে হয় জাকেরকে।সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি (টুর্নামেন্টের)
শুরুতেই বলেছিলাম একটা-দুইটা সিদ্ধান্তে আপনি ম্যাচটা হেরে যাবেন। সিদ্ধান্তগুলো যদি আরেকটু ভালো হয়, আরেকটু চিন্তা ভাবনা করে দেয় তাহলে ভালো। খালি চোখে যেটা আমরা দেখছি নট আউট, সেটা থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দিচ্ছে।’
‘কি করতে পারি? আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা মাঠে চিল্লাচিল্লি করি এটা কি চান? এমনিই সাসপেন্ড করে দেবে। ঠিক আছে। যেহেতু খেলা চলছে। প্রতিবাদ করেও তো লাভ নেই। আমরা লিখিত দেবো বা প্রতিবাদ করবো সেটা করেও
তো লাভ নেই। কোনো লাভ হবে না। আসলে কিছু করার নেই। হাত পা বাঁধা আছে। যা হবার তাই হবে আর কি।’একশ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা। অথচ এরপরই খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন।
মোসাদ্দেক করেন ১৯ বলে ২৭। খুশদিল অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৪৩ রান করে।শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও ১২ রানে হারে কুমিল্লা। আসরে এদের টানা তৃতীয় হার। এই আসরে এখনও জয়ের মুখ না দেখা কুমিল্লা বিপিএল পয়েন্ট তালিকার একবারেই তলানিতে।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আপনি যখন একটা ছন্দ পান তখন ওই অবস্থায় একটা উইকেট পড়ে গেলে খেলাটার জন্য ভালো না। হতে পারে আবার নাও হতে পারে (জাকিরের আউটে ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন)। এটা নিয়ে আর ফিরতে পারবো না। আমরা হেরে গিয়েছি সেটাই সত্য। আমরা এই অবস্থা থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি সেটাই বড় কথা।’