পুরো বিশ্বকে কাঁদিয়ে মাত্র ২৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার

সিধার্থ শর্মা, বলার মতো কিছুই করতে পারেননি এই ভারতীয় ক্রিকেটার। ২৮ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো খবরের শিরোনাম হয়েছেন, আলোচনায় এসেছেন। তবে সেটি আচমকা মৃত্যুর খবরদিয়ে। মাত্র ২৮ বছর বয়সে মাল্টি অর্গান

ফেলিউরের কারণে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন এই ভারতীয় পেসা’র। অথচ মৃত্যুর দুই সপ্তাহ আগেও ক্রিকেটই খেলার কথা ছিল সিধার্থের।হিমা’চল প্রদেশ থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটারের সেই ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভদোদরায়

বারোদার বিপক্ষে। সে লক্ষ্যে দলের সঙ্গে সেখানেই যান এই ক্রিকেটার। কিন্তু অনুশীলনে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলে সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ভেন্টিলেটরে টানা দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে হার মেনে

পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন এই ক্রিকেটার। মৃত্যুর আগে সিধার্থের খেলা শেষ ম্যাচ ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। যেখানে প্রথম’বারের মতো ফাইফার পেয়েছেন এই পেসার। রঞ্জিতে ২ ম্যাচে ১২ উইকেট পাওয়া সিধার্থ প্রথম শ্রেণিতে খেলেছন মোট ৬ ম্যাচ।

যেখানে ২৫ উইকেট আছে তার নামের পাশে। ৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৮ উইকেটও শিকার করেছেন তিনি। সিধার্থের মৃত্যু নিয়ে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সাবেক প্রধান ও আইপিএল গভর্নিংকাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমা’ল গণমাধ্যমে

বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সে তো ভালোই ছিল, রঞ্জিতে দুই ম্যাচে এবার দারুণ করেছে। বারোদার বিপক্ষে ম্যাচের আগে অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা যায়, তার ক্রিয়েটিনিন

লেভেল বেশ উঁচুতে। ক্রমে তার কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্তও হতে থাকে। আমরা নিয়মিত তার খোঁজ রাখছিলাম। আমরা আশাবা’দী ছিলাম যে সে কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু আমরা পারলাম না তাকে বাঁচাতে। মাল্টি অর্গান ফেলিউর হয়ে যায় তার। চি’কিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেনি।’