দোকানে লাগা আগুন দেখতে এসে নিখোঁজের অভিযোগ, মা-বউয়ের আহাজারি

রা’জ’ধা’নী’র ব’ঙ্গ’বা’জা’রে ভ’য়া’ব’হ আ’গু’ন লা’গা’র ঘ’ট’না ঘ’টে’ছে। আ’গু’ন নি’য়’ন্ত্র’ণে কা’জ ক’র’ছে ফা’য়া’র সা’র্ভি’সে’র ৪৭ টি ই’উ’নি’ট। এ’র’ই ম’ধ্যে সে’খা’নে পৌঁ’ছে’ছে সে’না’বা’হি’নী’র এ’ক’টি স’ম্মি’লি’ত সা’হা’য্য’কা’রী দ’ল। এ’র আ’গে যো’গ দে’য় বি’মা’ন বা’হি’নী’র ফা’য়া’র সা’র্ভি’স।

ম’ঙ্গ’ল’বা’র (৪ এপ্রিল) স’কা’ল ৬টা ১০ মি’নি’টে’র দি’কে ব’ঙ্গ’বা’জা’রে’র এ’নে’ক্স মা’র্কে’টে’র পা’শে’র টি’ন’শে’ড মা’র্কে’ট’টি’তে এ’ই’ অ’গ্নি’কা’ণ্ড ঘ’টে। আ’গু’ন লা’গা’র খ’ব’র পে’য়ে ব’ঙ্গ’মা’র্কে’টে’র দো’কা’ন’দা’র’রা ঘ’ট’না’স্থ’লে ছু’টে এ’সে’ছে। যে যা’র ম’তো দো’কা’ন থে’কে য’ত’টু’কু স’ম্ভ’ব

কাপড় বের করা যায় সে চেষ্টা করছে। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আশপাশে যাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেক দোকানদার।এর মধ্যে একজন দোকানদার মোঃ রাজীব দেওয়ান। তার বাড়ি বিক্রমপুরে। সেখান থেকে সকালে দোকানের উদ্দেশ্যে

রওনা দিলে পথিমধ্যে জানতে পারেন বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুনের ঘটনার কথা। এসময় তিনি স্ত্রীকে আগুন লাগার ঘটনা ফোনে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। রাজীবের কোন খোঁজ না পেয়ে তার স্ত্রী এবং মা বঙ্গবাজার মার্কেটে এসে খুঁজতে

শুরু করেন। এসময় চ্যানেল 24-কে রাজীবের স্ত্রী বলেন, আমার হাসবেন্ডের নাম মোঃ রাজীব দেওয়ান। বঙ্গবাজার মার্কেটেই তার দোকান। আজ সকাল ৭টা ২৫ মিনিটেও কথা হয়েছে আমার সঙ্গে। মোবাইলে ফোন দিয়ে আমাকে জানায় মার্কেটে আগুন

লাগার কথা। বাসার সবাইকে জানাতেও বলে সে। আমি কোথায় আছে জিজ্ঞেস করাতে জানায়, আমি বাবুবাজার ব্রিজের নিচে আছি, সেখান থেকেই জানতে পারলাম, সব শেষ। আমি সেখানে যেতে না করায় বলে, না আমি যাই, দেখি। তারপর থেকেই

ফোনে তাকে আর পাচ্ছি না। ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। রাজীবের মা আহাজারি করে বলেন, আমার ছেলেকে তো পাচ্ছি না। তার নিজের দোকান রয়েছে। আমাদের বাসা বিক্রমপুরে, সেখান থেকেই সকালে সে এখানে আসে। বঙ্গবাজারের নিচ তলায় আদর্শ

মার্কেটের এক নম্বর গলিতে দেওয়ান গার্মেন্টস নামে তার দোকান ছিল। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে সাতটি পাইপ লাগিয়ে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। হলের নিরাপত্তা প্রহরী মো. সুমন বলেন, সাড়ে

৬টা থেকে সাতটি পাইপ লাগিয়ে পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ারের লোকজন আমাদের কাছে আসে পানির জন্য। পরে আমরা হলের গেট খুলে দেই। তারা তখন থেকে সাতটি পাইপ লাগিয়ে পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বঙ্গবাজার মার্কেটের দোতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে এ ধরনের দুর্ঘটনা তাদের পথে নামিয়ে দিয়েছে। মাত্রই ঈদের বাজার শুরু হয়েছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে

এ ধরনের আগুন ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই ঈদ মৌসুমে ব্যবসা করবে বলে। কিন্তু আগুন সব শেষ করে দিল।