ছাত্রী হলে ঝুলছিল প্রেমিকা, ভিডিও কলে প্রেমিক

প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন রহমতপুর কৃষি ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী। ওই প্রতিষ্ঠানের হলে যখন তিনি গলায় ফাঁস দেন তখন ভিডিও কলে ছিলেন তার প্রেমিক।রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জের

রহমতপুর কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাসে এই ঘটনা ঘটে।নিহত ছাত্রীর নাম কেয়া আক্তার রত্না (২০)। রত্না কৃষি কলেজের চতুর্থ সেমিষ্টারের ছাত্রী ছিলেন। তিনি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছোট ডাকুয়া গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে। আর প্রেমিক

অন্তর আলী গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার হাতিয়া গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে। কেয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তার প্রেমিক অন্তর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত রত্নার বাবা আত্মহত্যার

প্ররোচনার অভিযোগ এনে তাকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।হোস্টেল সুপার জ্যেতিকা পাল জানান, শনিবার রাত ৩টার দিকে ছাত্রীরা মুঠোফোনে জানায় রত্না আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা শুনেই ছাত্রীনিবাসে যান তিনি। এর আগে বরিশাল

মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত রত্নার লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। রত্নার সহপাঠী ও বান্ধবীরা জানান, রত্নার সাথে তার সহপাঠী অন্তরের

প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এ নিয়ে রত্না চেচামেচি করায় রুমমেটরা অন্য কক্ষে চলে যায়। অন্তরের সাথে ঝগড়ার পর রত্না ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পূর্বে অন্তরকে ভিডিও কলে রেখেছিল রত্না।

এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল হোসেন জানান, ফোন পেয়ে পুলিশ ছাত্রীনিবাসে যেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আজ দুপুরে নিহত রত্নার পিতা বাদী হয়ে অন্তরকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অন্তরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেন।