ক্যানসার আক্রান্ত শরীফের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা বিসিবির

আফিফ হোসেন ধ্রুব, কাজী অনিকরা যখন মাতাচ্ছেন বিপিএল। তখন দুরারোগ্য টেস্টিকুলার ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন তাদের সাবেক স্বতীর্থ শরীফুল ইসলাম। বয়সভিত্তিক দলে খেলা এই পেসারের উন্নত চিকিৎসার জন্য সবাইকে পাশে চায় তার

পরিবার। সে ডাকে সাড়া দিয়েছে বিসিবিও। মিলেছে আশ্বাস। মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত সন্তানের জন্য আর কি বা করার আছে হতভ্যাগ্য মা-বাবার। যাকে নিয়ে বুনা হাজারো স্বপ্ন, চলতো সংসারের চাকা, সেই আদরের ধন আজ শয্যাশায়ী।

মোহাম্মদ শরীফ একজন ক্রিকেটার। জাতীয় দলের আফিফ হোসেন, বিপ্লব আহমেদদের বয়স ভিত্তিক দলের স্বতীর্থ।শরীফুল ইসলাম বলেন, খুব কষ্টকর। আমি আমার পরিবারের খুব সাহায্য করছিলাম, খেলাধুলা করছিলাম। এখন তিনমাসে

আমার নিজেকে বোঝা মনে হচ্ছে। ডানহাতি পেসার খেলেছেন অনূর্ধ্ব ১৭ দলে। ছিলেন ২০১৮ যুব বিশ্বকাপের প্রাথমিক ক্যাম্পেও। নিয়মিতই খেলতেন প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ।বছর পাঁচেক আগে পাওয়া ব্যাথা অগ্রাহ্য করলেও মাস কয়েক আগে

দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুরন্ত ছুটে চলা শরীর কাবু করে টেস্টিকুলার ক্যান্সার।শরীফুল ইসলাম আরও বলেন, জাতীয় দল পরে, আগে আমাকে বাঁচতে হবে। আমি বারবার এটা চিন্তা করি আমি সুস্থ্য হলে তো কিছু

একটা করতে পারব। কিন্তু আমি সুস্থ্য হচ্ছি না। চিকিৎসা এখনো শুরু হয়নি। বড় ক্রিকেটার যারা তারা যদি এগিয়ে আসে কিছু কিছু দিলে আমার চিকিৎসাটা খুব ভালো হবে। দুই বছর আগে বড় ছেলেকে হারানো শরিফের বাবা আর কাঁধে তুলে

নিতে চান না সন্তানের লাশ। দুঃসময়ে পাশে চান সবাইকে।শরীফের বাবা বলেন, একটা সময় স্বপ্ন দেখেছি যে আমার ছেলেটা জাতীয় দলে খেলতেছে। জাতীয় দলের হয়ে মাঠে খেলবে আমরা দেখব। তার বন্ধুরা খেলছে এখন সে খেলবে কি

তাকে সুস্থ্য করাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। শরিফকে অকালে হারাতে চায় না বিসিবিও। দিয়েছে উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস। ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কোয়াবকেও পাশে পাচ্ছেন এ পেসার।বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন,

যা লাগে আমরা করব। এগুলো নিয়ে ভেঙে পড়বেন না। চিকিৎসা করাতে পারছি না বা পারব না এগুলো নিয়ে চিন্তা করবেন না। যেটা সবচেয়ে ভালো হয় সেটাই করা হবে। আপনারা করে যান আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। ২২ গজের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে বহুবার হারিয়েছেন ৬ ফিট ২ ইঞ্চির এই পেসার। এবার পালা ক্যান্সার জয়। সে যুদ্ধে সাহায্যের হাত বড্ড বেশি প্রয়োজন শরিফের।