আমাদের ১০ নম্বর জার্সিটা রেখে দেওয়া উচিত। পরবর্তী বিশ্বকাপেও সে (মেসি) খেলতে চায় কি না, সেটার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।’ কাতারে শিরোপা জেতার পর আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির খেলা প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায়
এমনটাই বলেছিলেন লিওনেল স্ক্যালোনি। এদিকে, বিশ্বকাপ জয়ের মাস তিনেক পর তিন তারকা খচিত জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। আগামী শুক্রবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬ টায় নর্থ আমেরিকার দেশ
পানামার মুখোমুখি হবে মেসি-ডি মারিয়ারা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে এলো মেসির অবসর প্রসঙ্গ। তবে এবার বেশ জোরালোভাবেই আলবিসেলেস্তে কোচ বললেন, সে অবসর নিতে চাইলেও আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার
চেষ্টা করবো। কাতারে সোনালি ট্রফির স্বপ্নপূরণ। বহু আরাধ্য বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা। কার্যত নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে আকাশী-সাদা সমর্থকদের উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেন লিওনেল মেসি। বাঁ পায়ের জাদুতে
টুর্নামেন্টজুড়ে মাতিয়ে রেখেছেন। বলা চলে, দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টাইনদের সাফল্যের পেছনে প্রধান কুশীলব হিসেবেও দেখা হয় তাকে। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে আগামী বিশ্বকাপেও জাতীয়
দলের সেই চিরচেনা জার্সিতে দেখতে চান সতীর্থ থেকে সমর্থকরাও।পিএসজি তারকার খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কোচ স্ক্যালোনি। তার প্রত্যাশা, এখনই অবসরে যাচ্ছেন না মেসি। আর যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেনও, ফিরিয়ে
আনবেন ৩৫ বর্ষী মেসিকে। কোচ বলেন, ‘লিও খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এখনও দারুণভাবে ফিট আছেন। জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত সে খেলবে। একসঙ্গে আমরা খেলা চালিয়ে যেতে চাই। যদি তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চান, আমি তাকে
ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।’বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যে কোনো দলেরই আত্নবিশ্বাসের পারদ থাকে তুঙ্গে। অবশ্য নিজের খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন কিছু দেখতে চান না আর্জেন্টিনা কোচ। পানামার বিপক্ষে আসছে ম্যাচে খেলোয়াড়দের একই
লড়াকু মানসিকতা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তিনি।বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ বলে সবার মাঝে রয়েছে তুমুল আগ্রহ। খেলোয়াড়রাও ব্যতিক্রম নন। মাঠে ও মাঠের বাইরে উষ্ণ অভ্যর্থনায় আলাদা একটা রোমাঞ্চও
তাদের কাজ করারই কথা। যার প্রভাব পড়তে পারে মাঠের খেলায়। স্কালোনি অবশ্য এই ব্যাপারে বেশ সতর্ক। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন, পা মাটিতেই রাখতে হবে তাদের।