জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, আগে রাজনীতি করাটা ছিল নেশা, আর এখন রাজনীতি করাটা হয়েছে পেশা। রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবের
আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জীবনকে রাতারাতি বদলে দেওয়ার একমাত্র
পন্থা হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি এখন পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে রাজনীতি নেশা ছিল, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করতাম আমরা। এখন সেই নেশা নেই। এটা এখন সবচেয়ে বড় পেশা।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে দেখা যেত পাত্র যদি
রাজনীতি করে, তাহলে বিয়ে দিতো না। কারণ সে কোনো চাকরি পাবে না, তাহলে খাওয়াবে কী? খাওয়াতে হলে পত্রিকা অফিসে চাকরি করতে হবে, নাহলে বটতলার উকিল হতে হবে, না হয় মুদি দোকানদার হতে হবে অথবা এজিবির কেরানিগিরি।
কার কাছে মেয়ে দিবে? কিন্তু এখন যদি শোনে পাত্র সরকারি দল করে, তাহলে বলে আলহামদুলিল্লাহ। এরচেয়ে ভালো পাত্র আর হয় না। কারণ সে কিছু করতে পারবে।জাতীয় সংসদের অনেক অর্জনের সঙ্গে দুর্বলতাও আছে দাবি করে ফিরোজ
রশীদ বলেন, আজ পর্যন্ত একটা কমিশন (বঙ্গবন্ধু হত্যা) গঠন করতে পারছেন না। কারা জড়িত ছিল, এই জাতি যদি জানতে না পারে, তাহলে ইতিহাসের ভগ্নাংশ রেখে লাভ নেই। কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করাটা ছিল বিশাল ষড়যন্ত্র। ডালিম, ফারুক, রশিদ গিয়ে করলো, তা নয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল, তা আপনারা বের করলেন না।